গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো ঋণ খেলাপি ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয় না। পুনরায় তফসিল করার জন্য ঋণের ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ডাউন পেমেন্ট দিতে হয়।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দেশের বৃহত্তম সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ১০জন খেলাপির কাছ থেকে মাত্র ১৭ কোটি টাকা আদায় করতে পেরেছে। এছাড়া অপর দুই রাষ্ট্রীয় ব্যাংক অগ্রণী তিনজনের কাছ থেকে ২ কোটি এবং রূপালী সাতজনের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা আদায় করেছে।
আর বেসরকারি খাতের ব্যাংক প্রাইম, পূবালী ও ঢাকা ব্যাংক ১২ জন খেলাপির কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা আদায় করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীরা খেলাপি ঋণ নবায়ন না করে আদালতের আদেশ এনে স্থগিত করে রাখে। আদালত এ বছর স্থগিত করলেও তা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধান মোতাবেক করেছে।
জানা যায়, ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য গত ৪ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ২০২টি আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি পৃথক দল গঠন করে এবং আবেদনগুলোতে কোনো বড় ধরনের লঙ্ঘন না থাকলে পুনঃনির্ধারণের জন্য অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
২৮ নভেম্বর ছিলা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য শেষ দিন। ওইদিন আবেদন করায় ৪২টি আবেদনপত্র স্থগিত করা হয়েছিল, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি সাপেক্ষে পুনঃতফসিল করা হয়নি।
গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ মোতাবেক, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার একদিন আগেই তাদের ঋণ পুনঃতফসিল করার করার অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। মোট ৩ হাজার ৫৬জন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হলেও খেলাপির কারণে অধিকাংশ প্রার্থীর আবেদন বাতিল হয়ে যায়।
সূত্রমতে, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও বেসিক ব্যাংক ৪০ জন প্রার্থীর আবেদন ফেরত পাঠিয়ে খেলাপি হিসেবে প্রতিবেদন দিয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে ঋণ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি-মোতাবেক ঋণ পুনঃতফসিল করেছি।
‘যারা নিয়মের মধ্যে পড়েনি তাদের ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়নি। তবে যেসব প্রার্থী নবায়ন বা ঋণ পরিশোধ করেছে তাদের ঋণের পরিমাণ খুব কম ছিলো,’ বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
এসই/এমএ