৬ ডিসেম্বর প্রথমদিন ১ থেকে ১৬০ নম্বর আপিল আবেদনের শুনানি হবে। ৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনে ১৬১ থেকে ৩১০ নম্বর আবেদনের শুনানি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ নির্বাচন ভবনে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সবাই জানে ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিলো। সে সময় মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিলো। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ে ৭৮৬টি বাতিল হয়। এরপর ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৫৪৩টি আপিল আবেদন জমা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিন ৮৪টি, দ্বিতীয় দিন ২৩৭টি এবং শেষ দিন বুধবার (৫ ডিসেম্বর) ২২২টি আপিল আবেদন জমা পড়ে।
ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন আবেদনগুলো তিনভাগে ভাগ করে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুনানি করবে। ইতিমধ্যে এজলাস কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা শুনানি করবেন। শুনানি শেষে তাৎক্ষণিকভাবে রায় জানিয়ে দেওয়া হবে। কারো আবেদন নাকচ হলে রায়ের নকল কপি আমরা দিয়ে দেবো।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল বিবেচেনায় নয়, ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী আপলি আবেদেনের শুনানি করা হবে। কোন দলের কতটি আবেদন পড়েছে, তা বাছাই করা হয়নি। আমারা গত তিনদিন কেবল গ্রহণ করেছি। আগামীকাল বলতে পারবো- কয়টা বাতিল, কয়টা গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে।
দুই দিনের মধ্যে আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করা নিয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, তাদের বুঝিয়ে বলেছি, তারা মেনে নিয়েছেন যে, দুই দিনে সম্ভব নয়। কেননা, শুনানি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাৎক্ষণিক রায় দেওয়া, দুই দিনে সম্ভব নয়। তাই তিনদিনেই করতে হবে। যতক্ষণ শুনানি শেষ না হবে, ততক্ষণ চলবে। সকাল ১০টা থেকে মধ্যাহ্ন বিরতি দিয়ে যতক্ষণ লাগে, শেষ করতেই হবে।
জামায়াতের নিবন্ধন না থাকা সত্ত্বেও দলটির প্রার্থিতা নিয়ে ইসি সচিব বলেন, দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। প্রতীক নিয়ে তারা কিন্তু নির্বাচন করতে পারবে না। তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে ইসির কিছু করণীয় আছে বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ