ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

১০ বছরে কোটিপতি শহীদ, সম্পদ বেড়েছে স্ত্রীরও  

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৮
১০ বছরে কোটিপতি শহীদ, সম্পদ বেড়েছে স্ত্রীরও   আব্দুস শহীদ। ফাইল ফটো

মৌলভীবাজার: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ বিগত ১০ বছরে লাখপতি থেকে কোটিপতি হয়ে গেছেন। 

২০০৮ সালে তার মোট স্থাবর, অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮৬ লাখ  ৮৪ হাজার ৭০৭ টাকা  যা বিগত ১০ বছরের ব্যবধানে প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে তার মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ চার কোটি ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ৫৩০ টাকা।

নবম জাতীয় সংসদ ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুস শহীদের দাখিল করা হলফনামা এসবতথ্য জানা গেছে।  

দুই হলফনামা থেকে আরো জানা যায়, ১০ বছর আগে তার  স্ত্রীর নামে কোনো সম্পদ ছিল না। কিন্তু ২০১৮ সালে শহীদের স্ত্রীর নামে মোট সম্পদ দেখানো হয়েছে ৩১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৮৭ টাকা। তবে স্ত্রীর কাছে কী পরিমাণ স্বর্ণ আছে তার পরিমান ও মূল্য অজানা আব্দুস শহীদের।  

আব্দুস শহীদ পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাজনীতি, কৃষি এবং ব্যবসা। তিন পেশায় গত ১০ বছরে সম্পদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বার্ষিক আয়ের পরিমাণ প্রায় ২৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।  ২০০৮ সালে তার আয় ছিল দুই লাখ ৬৯ হাজার  টাকা। বর্তমানে বার্ষিক আয় ৬৫ লাখ দুই হাজার ১৫৮ টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে সংসদ থেকে দেখিয়েছেন ২৩ লাখ ১৪ হাজার ৮৯৭ টাকা, বাকি আয়ের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন কৃষি, বাড়ি ভাড়া, শেয়ার এবং গ্লোবাল লিংক লিমিটেড নামক কোম্পানিকে। তবে চ্যাটার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স নামে একটি বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান থাকার কথা উলে¬খ করেননি তিনি। এ ব্যবসা থেকে তার  আয় কী তাও হলফনামায় বলেননি শহীদ।  

২০০৮ সালে স্থাবর সম্পদ ছিল ২০ লাখ চার হাজার ৫০ টাকার যা বেড়ে বর্তমানে এক কোটি ৫০ লাখ ১১ হাজার ১৫০ টাকা হয়েছে। স্থাবর সম্পদ প্রায় সাড়ে সাত গুণ বেড়েছে। ২০০৮ সালে রাজউকে ১৭ লাখ টাকার পাঁচ কাঠার একটি প্লট থাকলেও ২০১৮ এসে এক কোটি ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৫০ টাকার আটটি অ্যাপার্টমেন্টের মালিক হয়েছেন তিনি।  

এদিকে তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১০ বছর আগে ছিল ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ৬৫৭ টাকার যা বর্তমানে প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে তিন কোটি ২৫ লাখ সাত হাজার ৩৮০ টাকা হয়েছে। ১০  বছর  আগে দুই গাড়ি বাবদ দেখিয়েছিলেন  ৫০ লাখ দুই হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে এক কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ৮০০ টাকার গাড়ি রয়েছে তার। তবে নির্বাচনের হলফনামায় কয়টি গাড়ি রয়েছে তা উল্লেখ করেননি তিনি।  

এ বিষয়ে আব্দুস শহীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যক্তিগত সহকারী জানান যে তিনি ব্যস্ত আছেন। এর পর তাকে মোবাইল ফোনে আর পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন সময় আব্দুস শহীদ সভা-সমাবেশে দাবি করেছেন, তিনি কোনো অবৈধ্য আয় করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।