ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, মোট ৫৪৩টি আপিল আবেদন পড়েছে। ৬ ডিসেম্বর প্রথমদিন ১ থেকে ১৬০ নম্বর আপিল আবেদনের শুনানি হবে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুনানি শুরু হয়ে শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। তিনদিনের শুনানিতে তৃতীয় দিন সবচেয়ে বেশি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে প্রথমদিন যদি টানা ১২ ঘণ্টা শুনানির সময় হিসেব করা হয়, সেক্ষেত্রে মোট সময় হবে ৭২০ মিনিট। এক্ষেত্রে প্রতিটি শুনানির জন্য পাওয়া যাবে মাত্র সাড়ে ৪ মিনিট।
হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছে, শুনানির সময় মধ্যাহ্নভোজের বিরতিও থাকবে। অর্থাৎ সময় আরো কমে যাবে। এক্ষেত্রে ৪ মিনিটের নিচে আসার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আপিল আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছেন ঋণ খেলাপি। তারপরেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর। তারা ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন দেখাতে না পারায় বাতিলের খাতায় পড়েছেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, প্রার্থী যতই হোক, আমরা শেষ করবো। যতক্ষণ লাগুক। কেননা, ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। আমাদের হাতে সময় কম।
এরইমধ্যে শুনানির জন্য নির্বাচন ভবনের ১১তলায় এজলাস কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে।
২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে বিএনপির ১৪১টি, আ’লীগের ৩টি এবং জাতীয় পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩৮৪টি।
৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার ৩০৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট ২ হাজার ৫৬৭টি ও স্বতন্ত্র ৪৯৮টি।
আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস