বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচন ভবনের ১১তলায় নির্বাচন কমিশনে রনির আপিলের শুনানি শেষে তার পক্ষে এই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামসুল হুদার আবেদনের শুনানির মাধ্যমে কমিশন এ কার্যক্রম শুরু করে।
রনির আগে বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী মিল্টন মোর্শেদের আপিল শুনানি শেষে তাকে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ না করার কারণ দেখিয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল।
প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ঢাকা-১ আসনের বিএনপির আরেক প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাকও। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ না করার কারণ দেখিয়ে তারও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল।
একইভাবে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে জামালপুর-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম এবং ঢাকা-২০ আসনের প্রার্থী তমিজ উদ্দিনেরও। দু’জনের মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছিল পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে না দাঁড়ানোর কারণে।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, মোট ৫৪৩টি আপিল আবেদন পড়েছে। ৬ ডিসেম্বর প্রথম দিন ১ থেকে ১৬০ নম্বর আপিলের শুনানি হবে। ৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনে ১৬১ থেকে ৩১০ নম্বর আবদনের শুনানি হবে। আর ৮ ডিসেম্বর শেষ দিন শুনানি হবে ৩১১ থেকে ৫৪৩ নম্বর আবেদনের।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুনানি শুরু হয়ে নির্ধারিত আবেদন নম্বর শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
মনোনয়নপত্র বাছাইকালে ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে বিএনপির ১৪১টি, আওয়ামী লীগের ৩টি এবং জাতীয় পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্র রয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩৮৪টি।
৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট ২ হাজার ৫৬৭টি, আর স্বতন্ত্র ছিল ৪৯৮টি।
আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮/আপডেট ১১৫৫ ঘণ্টা
ইইউডি/এইচএ/
** আপিলের শুনানি শুরু ইসিতে