পরে আপিলে এসে ওই আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন মিল্টন মোর্শেদ। এই আসনে প্রার্থিতা পেতে খালেদা জিয়াও আপিল করছেন, যার শুনানি হবে ৮ ডিসেম্বর।
বৃহস্পতিবার (০৬ ডিসেম্বর) শুনানির প্রথমদিনে প্রার্থীর যুক্তি শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে তা জানানো হয়।
এর আগে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন, ২ বছরের বেশি সময় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় খালেদা জিয়াকে, মো. সরকার বাদলকে উপজেলায় চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ না করায় এবং মিল্টন মোর্শেদকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করলেও তা গ্রহণ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার মিল্টন মোর্শেদের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন করলে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নির্বাচন কমিশন তার আবেদন মঞ্জুর করেন। ফলে এখন তার নির্বাচন করতে আর কোনো বাধা নেই।
আইন অনুযায়ী, খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তার নির্বাচন করার সুযোগ নেই। ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে তার তিনটি মনোনয়নপত্র-ই বাতিল হয়ে যায়।
বগুড়া-৬ আসনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ফেনী-১ আসনের মুন্সি রফিকুল আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়। আর বৃহস্পতিবার বৈধ হলো বগুড়া-৭ আসনে মিল্টন মোর্শেদের মনোনয়নপত্র।
বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী সরকার বাদলের মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ারও সুযোগ নেই। কেননা, লাভজনক পদ হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেননি।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে এখন চলছে আপিল শুনানি, যা চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ, আর ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
ইইউডি/এমএ