ইতোমধ্যে পুলিশের সদর দফতরে হিসাব অনুযায়ী তালিকা পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। সে হিসাবে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকাসহ বরিশাল রেঞ্জের আওতাভুক্ত ৬ জেলায় মোট ভোটাকেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৬৭৭টি।
কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভাগের মধ্যে বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার অর্ধশতাধিক কেন্দ্রকে দীপাঞ্চল ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ওইসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্বাচনের দিন জোরদার করা হবে।
হিসাব অনুযায়ী বরিশাল-৫ (সদর) ও বরিশাল-৩ আসনের আংশিক অংশ মিলিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন মোট ১৯৭টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১২৬টিকে গুরুত্বপূর্ণ ও ৭১টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
অপরদিকে, বরিশাল রেঞ্জের আওতাভুক্ত ৬ জেলায় মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২ হাজার ৪৮০টি। যার মধ্যে দীপাঞ্চলে (চরের মধ্যে) ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৬৯টি। দীপাঞ্চলসহ ১ হাজার ৬৮৩টিকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭৯৭টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়েছে।
জেলাভিত্তিক কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, জেলার ৬০৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯৪টি গুরুত্বপূর্ণ। যার মধ্যে দ্বীপাঞ্চলের (নদীর চরে) ১৯টিকে গুরুত্বপূর্ণ ও ১৯৫টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পটুয়াখালীর ৪৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৩৪৬ টি। এর মধ্যে দ্বীপাঞ্চলে (নদীর চরে) ২১ টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১২২টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে।
ভোলার ৪৭৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭৪টি গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যে দ্বীপাঞ্চলে (নদীর চরে) ২৯ টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৭৩ টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে।
বরগুনার ২৯২টি কেন্দ্রর মধ্যে ১৯২টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১শ’টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে। পিরোজপুরে ৩৭৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭১টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১০৭টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে। ঝালকাঠীতে ২৩৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ২শ’টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৩৭টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাসির উদ্দিন মল্লিক বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সব কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দুর্বল অবকাঠামো, যাতায়ত ব্যবস্থা, পুলিশ স্টেশন থেকে ভোটকেন্দ্র দূরত্বসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচনের আইন অনুযায়ী সব কেন্দ্রের ওপরেই আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক দৃষ্টি থাকবে।
বরিশাল রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে যা কিছু করণীয় সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ সর্তক থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
এমএস/ওএইচ/