অন্যদিকে দলটির ২০ প্রার্থীর আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
প্রার্থিতা ফিরে পেলেন বিএনপি ৩৮ জন:
বগুড়া-৭ আসনের মোরশেদ মিল্টন, ঝিনাইদহ-১ আসনের মো. আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা-২০ আসনের তমিজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের আখতারুজ্জামান, পটুয়াখালী-৩ আসনের গোলাম মওলা রনি, ঝিনাইদহ-২ আসনের আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ আসনের খন্দকার আবু আশফাক, দিনাজপুর-৩ আসনের সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ আসনের ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, পটুয়াখালী-৩ আসনের মো. শাহজাহান, সিলেট-৩ আসনের আব্দুল কাইয়ুম, জয়পুরহাট-১ আসনের ফজলুর রহমান, পাবনা-৩ আসনের মো. হাসাদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ-২ আসনের আবিদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের মো. আইনাল হক, খুলনা-৬ আসনের এসএ শফিকুল আলম, ময়মনসিংহ-৭ আসনের মো. জয়নাল আবেদীন, শেরপুর-২ আসনের একেএম মুখলেছুর রহমান, চট্টগ্রাম-১ আসনের নুরুল আমীন, কুমিল্লা-৫ আসনের মোহাম্মদ ইউনুস, চট্টগ্রাম-৩ আসনের মোস্তফা কামাল পাশা, গাইবান্ধা-৩ আসনের মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ঢাকা-৫ আসনের মো. সেলিম ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৩ আসনের মুজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-১ আসনের মোহাম্মদ তোজাম্মেল হক, ময়মনসিংহ-৩ আসনের আহাম্মদ তায়েবুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবু আসিফ, পঞ্চগড়-২ আসনের ফরহাদ হোসেন আজাদ, মানিকগঞ্জ-৩ আসনের মো. আতাউর রহমান, ঢাকা-১৪ আসনের সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের আব্দুল খালেক, রাজশাহী-১ আসনের মো. আমিনুল হক, দিনাজপুর-১ আসনের মো. হানিফ, চট্টগ্রাম-৮ আসনের এরশাদ উল্লাহ, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাটোর-৪ আসনের আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের এমএ মুহিত ও সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের মেজর(অব.) মঞ্জুর কাদের।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহ-৪ আসনের প্রার্থী আব্দুল মান্নানও প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। বিদ্যুৎ বিলের কাগজ না দেওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বিএনপির যেসব প্রার্থীর আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে (২০ জন):
খাগড়াছড়ি আসনের আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, পঞ্চগড়-১ আসনের মো. তৌহিদুল ইসলাম, বগুড়া-৩ আসনের মো. আব্দুল মুহিত, বগুড়া-৬ আসনে একেএম মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জ-২ আসনের মো. জাকির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আখতার হোসেন, ফেনী-১ আসনের মো. নূর আহাম্মদ মজুমদার, লালমনিরহাট-২ আসনের মো. জাহাঙ্গীর আলম, রংপুর-৫ আসনের মমতাজ হোসেন, চট্টগ্রাম-৫ আসনের মীর মোহাম্মদ নাসির, নীলফামারী-৪ আসনের মো. আমজাদ হোসেন, নীলফামারী-৩ আসনের ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাইফুল ইসলাম শিশির, বাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের মুশফিকুর রহমান, নাটোর-২ আসনের রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, বগুড়া-৭ আসনের মোহাম্মদ সরকার বাদল, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের ইকবাল হাসান মাহমুদ, নওগাঁ-৫ আসনের মোহাম্মদ নাজমুল হক, যশোর-২ আসনের সাবিরা নুর ও মাগুরা-২ আসনের খন্দকার মেহেদী আল মাসুম।
স্বতন্ত্র যেসব প্রার্থীর আবেদন মঞ্জুর হয়েছে (১৩ জন):
ময়মনসিংহ-২ আসনের মো. আবু বকর সিদ্দিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের মাহবুব আলম, বরিশাল-২ আসনের মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আশরাফ উদ্দিন, রংপুর-১ আসনের মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, গাইবান্ধা-৩ আসনের মোহাম্মদ আবু জাফর, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের মোহাম্মদ ইউনুস আলী, বরিশাল-২ আসনের মোহাম্মদ আনিচুজ্জামান, সিলেট-৫ আসনের ফয়জুল মুনির চৌধুরী, গাইবান্ধা-৪ আসনের আব্দুর রহিম সরকার, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, বগুড়া-৫ আসনের মোহাম্মদ আব্দুর রউফ মন্ডল জন।
স্বতন্ত্র যাদের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে (২৫ জন):
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের নবাব মো. শামছুল হুদা, দিনাজপুর-২ আসনের মোকাররম হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. তৈয়ব আলী, দিনাজপুর-১ আসনের মোহাম্মদ পারভেজ হোসেন, ফেনী-১ আসনের মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের ড. মিজানুল হক, রাঙ্গামাটি আসনের অমর কুমার দে, বগুড়া-৪ আসনের মোহাম্মদ আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), সাতক্ষীরা-১ আসনের এসএম মুজিবুর রহমান, ব্রাহ্মবাড়িয়া-৩ আসনের মো. বশির উল্লাহ, নওগাঁ-৪ আসনের আফজাল হোসেন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের আবুল ফয়েজ ভুঁইয়া, কুমিল্লা-২ আসনের মো. সারওয়ার হোসেন, কুমিল্লা-৪ আসনের মাহবুবুল আলম, নোয়াখালী-৩ আসনের এইচ আর এম সাইফুল ইসলাম, লালমনিরহাট-১ আসনের আবু হেনা মো. এরশাদ হোসেন, নীলফামারী-৪ আসনের আখতার হোসেন বাদল, নীলফামারী-৪ আসনের মিনহাজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের আবুল হাশেম, কুড়িগ্রাম-১ আসনের মোহাম্মদ ওসমান গণি, ফেনী-৩ আসনের হাসান আহমদ, ময়মনসিংহ-১০ আসনের মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, বগুড়া-২ আসনের মোহাম্মদ আবুল কাসেম, বাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, নড়াইল-১ আসনের মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, সাতক্ষীরা-১ আসনের নুরুল ইসলাম।
অন্যান্য দলের যারা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন:
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাতক্ষীরা-২ আসনের প্রার্থী মো. আফসার আলী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির পটুয়াখালী-১ আসনের সুমন সন্যামত, জাতীয় পার্টির মাদারীপুর-১ আসনের জহিরুল ইসলাম মিন্টু, জাতীয় পার্টির গাজীপুর-২ আসনের মো. মাহবুব আলম, একই আসনে মো. জয়নাল আবেদীন, জাতীয় পার্টির ব্রাহ্মবাড়িয়া-৩ আসনের জেসমিন নুর বেবী, রংপুর-৪ আসনের মোস্তফা সেলিম, বাংলাদেশ ইসলামীক ফ্রন্টের হাবিগঞ্জ-১ আসনে জুবায়ের আহমেদ, জাতীয় পার্টি ব্রাহ্মবাড়িয়া-৩ আসনের আব্দুল্লাহ আল হেলাল, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের হাবিগঞ্জ-৪ আসনের মওলানা মোহাম্মদ ছোলাইমান খান রাব্বানী, নাটোর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আলাউদ্দীন মৃধা, চাঁদপুর-৫ আসনে এলডিপি’র মোহাম্মদ নেয়ামুল বশির, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জাকের পার্টির শাহ আলম, জিনাইদহ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির কামরুজ্জামান স্বাধীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ইসলামীক আন্দোলন বাংলাদেশে’র সৈয়স আনোর আহাম্মদ লিটন, ব্রাহ্মবাড়িয়া-৫ আসনে জাতীয় পার্টির মামুনুর রশীদ, ঢাকা-১৪ আসনে জাকের পার্টির জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ-৮ আসনে এলডিপির এমএ বাশার, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে গণফোরামের মাহফুজার রহমান, কুড়িগ্রাম-৬ আসেন জাকের পার্টির মুহাম্মদ ফয়সাল বিন শালিক, চট্টগ্রাম-১০ আসনে জাসদের আনিরসুর রহমান, কুমিল্লা-১১ আসনের জাকের পার্টির তাজুল ইসলাম বাবুল, কুমিল্লা-৫ আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের মো. শাহ আলম, যশোর-৬ আসনে জাকের পার্টির সাইদুজ্জামান, নড়াইল-২ আসনে জেএসডি’র ফকির শওকত আলী, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে’র আব্দুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. হাবিবুর রাহমান, বগুড়া-২ আসনের বিএমএলের শফিকুল ইসলাম।
অন্যান্য দলের যেসব প্রার্থীদের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে:
জাতীয় পার্টির মাদারীপুর-৩ আসনের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের এসএম খলিলুর রহমান, নেত্রকোণা-১ আসনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ময়মনসিং-২ আসনের জাপার মোহাম্মদ এমদাদুদল হক, খুলনা-২ আসনে জাপার এসএম এরশাদুজ্জামান।
বিএনপি ও স্বতন্ত্র ৪ প্রার্থীর আবেদন নিষ্পত্তি হয়নি:
গাইবান্ধা-৫ আসনের মো. নাজিমুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম -৪ আসনের ইমান আলী, চট্টগ্রাম-৯ আসনের সামসুল আলম। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের আদিভ আলভীর আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি।
২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে বিএনপির ১৪১টি, আ’লীগের ৩টি এবং জাতীয় পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩৮৪টি।
৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার ৩০৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট ২ হাজার ৫৬৭টি ও স্বতন্ত্র ৪৯৮টি।
বাতিল হওয়া ৭৮৬টি মনোনয়নপত্রের বিপরীতে ৫৪৩টি আপিল আবেদন জমা পড়ে। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে ১৬০ জনের আপিলের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার যথাক্রমে ১৫০ ও ২৩৩টি আবেদনের শুনানি হবে।
৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। ভোটগ্রহণ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ সময় : ২১৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ