৫৪৩টি আপিল আবেদনের মধ্যে বৃহস্পতি ও শুক্রবার (৬ ও ৭ ডিসেম্বর) মোট ৩১০টির শুনানি হয়েছে। শনিবার ২৩৩ আবেদনের শুনানি করবে হবে।
এদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া, ও বিএনপির সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল আবেদন করেছেন।
অন্যদিকে মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য আবেদন করেছে সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। আর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদন করেছেন সাব্বির আহম্মেদ নামে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের এক প্রার্থী।
গত দুই ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র মামলায় দুই বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে এবং কাদের সিদ্দিকীকে ঋণ খেলাপের কারণ দেখিয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আর স্বতন্ত্র বা দলীয় প্রার্থী কোনো কিছুই উল্লেখ না করার কারণ দেখিয়ে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে বিএনপির ১৪১টি, আ’লীগের ৩টি এবং জাতীয় পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩৮৪টি।
৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার ৩০৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট ২ হাজার ৫৬৭টি ও স্বতন্ত্র ৪৯৮টি।
দু’দিনে ৩১০টি আপিল আবেদনের শুনানিতে মোট ১৫৮ প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির ৫৯জন ও আওয়ামী লীগের দু’জন প্রার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।
প্রথম দিন বুধবার ১৬০ জনের শুনানিতে ৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এরমধ্যে বিএনপির ৩৮ জন। ৭৬ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। ৪ জনের আবেদন স্থগিত রয়েছে। শনিবার শুনানি শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
ইইউডি/ওএইচ/