ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ডিসেম্বরের শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি ভোট করার ভাবনা

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
ডিসেম্বরের শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি ভোট করার ভাবনা

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (এনসিসি) নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনেরও (ইসি) ইচ্ছা বিদায়ের আগে বড় এ নির্বাচনটি সম্পন্ন করার।

এক্ষেত্রে আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভোটটি সম্পন্ন করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানিয়েছে, এনসিসি নির্বাচন সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর। আর শপথ নেওয়ার পর নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি।

সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদকাল হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোট করতে হয় মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে।

এই হিসেবে এনসিসির পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। ভোট করতে হবে তার আগের ১৮০ দিন অর্থাৎ চলতি বছরের ১১ আগস্ট থেকে আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। ইতোমধ্যে এ সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়ে গেছে।

ইসি সচিবালয়ের দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে ভোটের আয়োজন করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হতো। কমিশনের ইচ্ছা ডিসেম্বরের মধ্যেই যতটা সম্ভব নির্বাচন শেষ করা। কেননা আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হবে।

তারা বলছেন, যেহেতু আইন অনুযায়ী আগাম নির্বাচন করার বিধান রয়েছে, সেহেতু আগের নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন আরেকটি ‘সেট’ নির্বাচিত হয়ে যায়। ফলে বিদায়ী মেয়র বা অন্য সদস্যদের কাজে নানা ধরনের অসুবিধা সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো ক্ষমতার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়, যদিও শপথ নেওয়ার আগে কাউকে মেয়র বলা যায় না বা কার্যত কোনো ক্ষমতা থাকে না।

এদিক থেকে ইসি সচিবালয় চায় ভোটটা একেবারে শেষের দিকে করতে। সময় কম থাকায় ক্ষমতা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ কম থাকে। তাই ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোটের পক্ষে তারা।

কর্মকর্তারা বলছেন, আইন অনুযায়ী ভোটের ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে শপথ অনুষ্ঠান করতে হয়। তাই ডিসেম্বরের শেষে ভোট করে জানুয়ারির শেষের দিকে শপথ করলে খুব বেশি অসুবিধা হবে না। কেননা ৮ ফেব্রুয়ারি নতুন নির্বাচিতরা প্রথম সভা করতে পারবেন।

এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, সময়ের একেবারে শেষ দিকে ভোট করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। কেননা এতে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ কম। একই সিটিতে দুই সেট নির্বাচিত সদস্য বেশি সময় ধরে থাকলে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ থাকে। কমিশন চায় ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষে ভোট হতে পারে। কমিশন চাইলে নভেম্বরেও করা যাবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে সিইসি রাশিয়ায় অবস্থান করছেন, দেশটির সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে। ফিরবেন ২২ সেপ্টেম্বর। চলতি মাসের শেষের দিকে একটি কমিশন সভা রয়েছে। তখন এনসিসি ভোট নিয়ে আলোচনা হবে। এখনো কমিশন বৈঠকের নোটিশ জারি হয়নি।

এদিকে সূত্রগুলো জানিয়েছে, কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও নির্বাচনের প্রাথমিক কাজ গুছিয়ে আনছে কমিশন। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে মতামত চেয়ে চিঠি দিয়েছে ইসি। এছাড়া নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকেও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আবদুল বাতেন জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণ যেকোনো সময় দিতে প্রস্তুত রয়েছে তার দফতর। এজন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা প্রয়োজন। আর সেটা ঠিক হবে তফসিল ঘোষণার পর।

ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর তালুকদার জানিয়েছেন, এনসিসি নির্বাচনের জন্য হাতে অনেক সময় আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট হতে পারে। এ নিয়ে চূড়ান্ত হবে কমিশন বৈঠকে। কাজেই কমিশন যখন বলবে তখনই নির্বাচন হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।