খুলনা: খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ২ নম্বর বারাকপুর ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শর্টগানের গুলিতে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন স্থানীয় মো. ইমরান শেখ (২৫), আহাদ শেখ (২৬), কামাল মল্লিক (৩৫), সাগর (২২) ও আলমগীর (৩০)।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ২ নম্বর বারাকপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তর বারাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যানপ্রার্থী গাজী জাকির হোসেন ও বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ আনসার উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ সময় কর্তব্যরত আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় উভয় পক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
সংর্ঘষের জের ধরে দুপুর ১২টার দিকে বারাকপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিনা পাড়া এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ আনসার উদ্দিনের বাড়ির সামনে দুই পক্ষের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি বর্ষণে পাঁচজন আহত হন। আহতদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ আনসার উদ্দিনের সমর্থক বলে জানা যায়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আনসার উদ্দিন বলেন, বেলা আনুমানিক ১২টার সময় আমি দুটি প্রাইভেট গাড়িতে করে ছয়জন কর্মী নিয়ে বারাকপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারাকপুর উ. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যাই।
তিনি আরও বলেন, এ সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকির গাজীর সন্ত্রাসীরা আমার গাড়িতে লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করে। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আমি ওই এলাকা থেকে চলে যাওয়া পর প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর বোমা হামলা ও এলোপাথাড়ি গুলি করেছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী গাজী জাকির হোসেন বলেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বহিরাগতদের নিয়ে শেখ আনসার উদ্দিনের সন্ত্রাসীরা আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা এবং বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন চলাকালীন ২ নম্বর বারাকপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
এমআরএম/জেএইচটি