ঢাকা: ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের এবার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সহায়তা নিয়ে কার্যক্রমটি এগিয়ে নিতে চায় সংস্থাটি।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের করোনা টিকা কার্যক্রমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৬ বছর বয়স থেকে এনআইডি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে মাধ্যমিক স্কুলগুলোর সহায়তা নেওয়া হবে। যেসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, কিন্তু বয়স ১৬ বছর হয়েছে কিংবা জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৬ বা তার আগে, তাদের এ কার্যক্রমের ভেতর আনতে ইউপির সহায়তা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ইউপির ডিজিটাল সেন্টার ও লোকবলের সহায়তা নেওয়া হতে পারে।
১৬ বছর বয়সীদের এনআইডি দেওয়া সংক্রান্ত উপ-কমিটি সম্প্রতি এমন সুপারিশ করলে তার অনুমোদন দিয়েছে ইসির এনআইডি অনুবিভাগ।
কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়গুলো এখনো আলোচনাধীন। অতি সম্প্রতি কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হতে পারে। তবে তার আগে আরও বৈঠক করে পাকাপোক্ত করা হবে প্রস্তাবনাটি। এক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী ও বাদ পড়াদের তথ্য সংগ্রহ করা হতে পারে।
এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বৈঠকের কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারি ২০০৬ বা তার আগে জন্ম গ্রহণকারী সব নাগরিকদের (ঝরে পড়া শিক্ষার্থী ও বিগত হালনাগাদে বাদ পড়া সব ভোটার) প্রথাগতভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে নিবন্ধন (ছবি তোলা ও বায়োমেট্রিক্স) করা যেতে পারে।
এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. নুরুজ্জামান তালুকদার এ বিষয়ে বলেন, ১৮ বছরের নিচের বয়সীদের করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে টিকা কার্ড পেতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তাই এ কার্যক্রম হাতে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কিছুটা এগিয়ে থাকছি। যদি আরও নিচের বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তখন তাদের কীভাবে এনআইডি দেওয়া যায়, তা নিয়ে পরবর্তীতে ভাবা হবে। আপাতত ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীদের এনআইডি হোক।
বর্তমানে ইসির সার্ভারে ১১ কোটি ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে। এখান থেকে সরকারি-বেসরকারি প্রায় ১৫০টি প্রতিষ্ঠান নাগরিকদের পরিচয় শনাক্তকরণের মাধ্যমে সেবা দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
ইইউডি/আরবি