ঢাকা: দেশে দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী বছরের জানুয়ারিতে।
৮৬তম কমিশন বৈঠক শেষে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হবে। জানুয়ারির দিকে অনুষ্ঠিত হবে জেলা পরিষদ নির্বাচন।
পরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবারই আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেয়েছি। তবে আপনারা জানেন ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাই জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার। ফলে এই ভোটগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে গেলে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হবে। যে কারণে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জানুয়ারি মাসে এর ভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদ পরিচালনা করে। এরপর প্রথমবারের মতো এই স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই সময় ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) নির্বাচন হয়েছিল। এরমধ্যে ১৯টি জেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
একটি জেলার অধীনে যতগুলোর স্থানীয় সরকার রয়েছে, সেগুলোর সদস্যরাই ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের সদস্যদের নির্বাচিত করে থাকেন। অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
ইইউডি/এমজেএফ