শরীয়তপুর: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের সব পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া বিনোদপুর ও চন্দ্রপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তারা নির্বাচিত হন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, চিতলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে দু’জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদের একজন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন ও সংরক্ষিত পদের নয়জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে এখানে বাকি সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া, ডোমসার, পালং, তুলাসার, রুদ্রকর, শৌলপাড়া ও মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে। এর মধ্যে চন্দ্রপুর ও বিনোদপুর ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বুধবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপর থেকে তারা নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শুরু করবেন।
সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন-অর-রশিদ, বিনোদপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হামিদ সাকিদার এবং চন্দ্রপুর ইউনিয়নে শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম খান নির্বাচিত হয়েছেন। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, শরীয়তপুর সদর উপজেলার তিন ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুল হামিদ সাকিদার, আব্দুস ছালাম খান ও হারুন-অর-রশিদকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন রির্টানিং কর্মকর্তারা। এ ছাড়া চিতলিয়া ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
এসআই