ঢাকা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে সংসদ সদস্য এলাকা ত্যাগ না করলে করণীয় কিছু নেই ইসির এমন বক্তব্যে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নির্বাহী কমিটির সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
সোমবার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইসি যখন একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে এটা মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। নির্বাচন কমিশন যদি অসহায়ত্ব প্রকাশ করে আমরা সাধারণ নাগরিকরা যাব কোথায়? নির্বাচন মানেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আশা করি ইসি সেটি করবে।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি অতীতেও অনেক অযোগ্য প্রার্থীরা কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে প্রার্থিতা পেয়েছে, যাদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক আছে। এবারও এটি ঘটেছে। উপনিবেশবাদের রাজা-প্রভু সম্পর্ক থেকে বের হতে হবে আমাদের। আমরা সচেতন হব, দাবি করব। একই সঙ্গে আমরা আমাদের করণীয়গুলো করব।
সম্মেলনে সুজন'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে, আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৩৬ জনসহ মোট ১৪৭ জন প্রার্থীর ৭ ধরণের তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
এর মধ্যে প্রার্থীদের শিক্ষাগত, পেশা সংক্রান্ত, মামলা সংক্রান্ত, প্রার্থী ও নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয়, বাৎসরিক গড় আয়, সম্পদের তথ্য, বাৎসরিক গড় সম্পদ, দায় দেনা ও ঋণ সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করেন।
দিলীপ বলেন, আমরা সুস্পষ্ট ভাবে তথ্যগুলো উল্লেখ করেছি, যাতে ভোটাররা ভাল ভাবে জানেন কার নামে কি মামলা রয়েছে, কার কি শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে। নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা রোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, আপনারা এ তথ্যগুলো বেশি করে প্রচার করুন। এতে যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে সুবিধে হবে আপনাদের।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুজন'র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন। বক্তারা কুসিক নির্বাচনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ১৩ জুন ২০২২
এমকে/এনএইচআর