সিলেট: প্রকৃতিতে আপন খেয়ালে ‘আবার এসেছে আষাঢ়, আকাশে ছেয়ে’। ‘আজি ঝরো ঝড়ো মুখর বাদল দিনে’।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার মানুষের জন্য আষাঢ় যেন ভোটে বাধা হয়ে দাঁড়ালো।
বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৯টা থেকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা উপ নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ভোটারের উপস্থিতি খুবই নগণ্য। দুপুর গড়িয়ে গেলেও মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে, এমনি জানিয়েছেন খোদ নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা অলস সময় কাটাচ্ছেন। বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরব চাহনি। লাইনে দাঁড়িয়ে নেই ভোটাররা। যেন আগ্রহে ভাটা পড়েছে ভোট দিতে।
সকল থেকে শান্তিপূর্ণ অবস্থা থাকলেও আষাঢ়ের বৃষ্টি বাগড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোটে। ভোটাররা বাড়ি থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে বৃষ্টি।
উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল আহাদ বলেন, সকাল থেকে ভারী বর্ষণ হওয়াতে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম। দু’চার জন ভোটারের উপস্থিতি ব্যতিরেকে কেন্দ্রগুলো অনেকটা খালি পড়ে আছে।
তবে বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে গ্রহণে সকাল থেকে নারী-পুরুষরা কেন্দ্রে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে। যদিও দুপুরে পরে বৃষ্টির কারণে ভোটারের উপস্থিতি কমে গেছে বলে জানা গেছে।
প্রায় এক মাস ধরে এসব নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় উত্তাপ ছড়ালেও ভোটের দিন তাতে বাগড়া বসিয়েছে বৃষ্টি। সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে ভোটারদের মধ্যকার উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভাটা পড়ে।
তবে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ভোটারদের কেন্দ্রে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মী-সমর্থকরা রিকশা ও ইজিবাইক (টমটম) নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন।
কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ভেঙে ভেঙে চলছে ভোট। বেলা দেড়টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সিলেটের গোলাপগঞ্জে নির্বাচনে নিয়োজিত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেলা ১২টা পর্যন্ত অনেক কেন্দ্রে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন মাত্র ২০/২৫ টা করে ভোট পড়েছে।
সিলেটে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারণে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। দিন ভালো হলে হয়তো ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন। আর না হলে, যে ভোট কাস্ট হবে, সেটার ভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি অ্যান্ড মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ভোটের মাঠের পরিস্থিতি এখনো শান্ত আছে। কোথাও কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা নেই। তবে ভারী বর্ষণের কারণে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারছেন না। যে কারণে ভোটারের উপস্থিতিও কম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
এনইউ/কেএআর