ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

আত্মহত্যার জন্য নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন কৈলাশ খের!

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
আত্মহত্যার জন্য নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন কৈলাশ খের! কৈলাশ খের

ভারতের ভিন্নধারার ও সুফি গানের গায়কদের মধ্যে অন্যতম কৈলাশ খের। ভারতীয় উপমহাদেশের ব্যাপক জনপ্রিয় এই গায়ক বলিউডেও রয়েছে তার বেশ কয়েকটি হিট গান।

সফল এই গায়ক একসময় ছিলেন অন্ধকারের গহীন কুটিরে!

এমনকি জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা আসায় নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন কৈলাশ! আত্মহত্যার মতো পথও বেছে নিতে চেয়েছেন!

জানা যায়, তখনো গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হননি কৈলাশ। দিল্লিতে ছোটখাঠো ব্যবসা শুরু করেছিলেন। মূলত রপ্তানির ব্যবসা। কিন্তু সেই ব্যবসা নিয়ে অসন্তোষ এবং সন্দেহের উদ্রেক হয় গায়কের মনে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নিজেকে ব্যর্থ মনে করতে শুরু করেন কৈলাশ। ধীরে ধীরে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েন গায়ক। হতাশায় ডুবে গিয়ে একদিন গঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তিনি!

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই দুঃসহ স্মৃতি স্মরণ করে কৈলাশ বলেন, হঠাৎই আমার ব্যবসাটা কমতে শুরু করে। ব্যবসায় একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পর আমি হৃষিকেশে চলে যাই পুরোহিত হওয়ার জন্য। কিন্তু আমি নিজেকে সেখানে খাপ খাওয়াতে পারছিলাম না। ওখানে সবাই বয়সে আমার চেয়ে ছোট। ওদের মতামতের সঙ্গে আমার ভাবনা-চিন্তা মিলছিল না। ধীরে ধীরে আমি সব কিছুতেই ব্যর্থ হচ্ছিলাম। খুব হতাশ লাগছিল। তাই একদিন গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে দিই। বেঁচে থাকাটা অর্থহীন হয়ে পড়েছিল আমার জন্য।

আত্মহত্যার জন্য নদীতে ঝাঁপ দিলেও বেঁচে যান কৈলাশ খের। সেই সময়ে নদীর ঘাটে বসে থাকা এক ব্যক্তি কৈলাশকে পানিতে ডুবতে দেখে ফেলেন। তার তৎপরতাতেই প্রাণে বাঁচানো হয় কৈলাশকে।

আত্মহত্যা করতে গিয়েও নতুন এক জীবন শুরু হয় এই জনপ্রিয় গায়কের। এরপরের গল্পটা সবারই জানা। ঘুরে দাঁড়ান তিনি। মুম্বাই চলে আসেন গানের ক্যারিয়ার গড়তে। গানের জগতে নিজের জন্য জায়গা তৈরি করেন।  

জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি গায়ককে। আজ তিনি ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল গায়ক হিসেবেই পরিচিত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এনএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।