ভারতীয় সিনেমা আমদানির জন্য এক হয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠন। সিনেমা হল টিকিয়ে রাখতে এবং দর্শকদের হলমুখী করতে বছরে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদেশি ভাষা তথা হিন্দি সিনেমা আমদানির জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বরাবর লিখিত প্রস্তাব পেশ করেছেন এই সংগঠনের নেতারা।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের মুক্তি পাচ্ছে না ‘পাঠান’। সূত্রটি জানায়, ‘পাঠান’ মুক্তির প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী উপমহাদেশীয় ভাষায় তৈরি করা চলচ্চিত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের অনুমোদন দেওয়ার সুযোগ নাই।
হল মালিক অর্থাৎ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতিও দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় সিনেমা মুক্তির দাবি করে আসছেন। এবার ‘পাঠান’ সিনেমা মুক্তির অনুমোদন না দেওয়া ও বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলতে বছরে ১০টি হিন্দি সিনেমা মুক্তির অনুমতি না দিলে সিনেমা হল বন্ধ করে দেবেন বলে জানায় প্রদর্শক সমিতি।
শনিবার (০৪ মার্চ) রাজধানী মগবাজারের একটি রেস্তোরায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে উল্লেখ করে সিনেমা হল মালিক সমিতির সেক্রেটারি আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিকভাবে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরও হিন্দি সিনেমা আনার লিখিত ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি। ‘হাওয়া’, ‘পরাণ’ ছাড়া গত বছর সেভাবে তেমন কোনো সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে ব্যবসা করেনি। এভাবে চলতে থাকলে দেখবেন একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাবে।
সেখানে আরো জানানো হয়, টেকনিক্যাল কারণে হল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে যে কোনো দিন একে একে সব সিঙ্গেল স্ক্রিন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
হল মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, এমতাবস্থায় সিনেমা হল চালু রাখার আর কোনো বাস্তব যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না বিধায় বন্ধ করে দেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করি।
সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. খুরশিদ আলম, সংস্কৃতি সমাজ কল্যাণ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক আর এম ইউনুস রুবেল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এনএটি