ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

সব জায়গায় মজিদ চাচাকে হাজির করলে সেটা অসততা নিশ্চয়ই: ফারুকী

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
সব জায়গায় মজিদ চাচাকে হাজির করলে সেটা অসততা নিশ্চয়ই: ফারুকী মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

দেশের নন্দিত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। কাজের বাইরে সামাজিকমাধ্যমে বেশ সরব তিনি।

সেখানে নিজের ব্যক্তিজীবন, কাজের তথ্য শেয়ারের পাশাপাশি নানা বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন এই নির্মাতা।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মতে, যেটা খারাপ কাজ সেটাকে খারাপ বলতে আমার দ্বিধা নাই।

রোববার (১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায়) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসের এ কথা জানিয়েছেন তিনি। মূলত সামাজিকমাধ্যমে দাতব্য সংস্থা বিদ্যানন্দন ফাউন্ডেশনের কিছু কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেই আলোচনার রেশ ধরেই তার স্ট্যাটাসটি।  

ওই স্ট্যাটাসের শুরুতেই ফারুকী লেখেন, যেটা খারাপ কাজ সেটাকে খারাপ বলতে আমার দ্বিধা নাই। আরেক পেজ থেকে ফটো নিয়ে নিজেদের বলে চালানো নিঃসন্দেহে অসততা! এক গরু কয়েকবার কোরবানি করাও অসততা। এক মজিদ চাচাকে সব জায়গায় হাজির করা হয়ে থাকলে সেটাও অসততা নিশ্চয়ই। এগুলো কোনোভাবেই ভালো ইমপ্রেশন দেয় না।  

তিনি লেখেন, এখন এটা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের অপরিপক্কতা কিনা সেটা মানুষ বিবেচনা করতে যাবে না। এর দায় টপ ম্যানেজমেন্টের ওপরও নিশ্চয়ই বর্তাবে। যদিও এগুলা কোনোটাই এখন পর্যন্ত এরকম কিছু প্রমাণ করে না যে তারা ফান্ডের অপব্যবহার করেছে, বা তারা আসলেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সৃষ্টি।

যোগ করে এই নির্মাতা লেখেন, তারপরও স্বাভাবিক কারণেই তাদের এই সব সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে অন্য সবার মতো, যারা বিদ্যানন্দের চ্যারিটি কাজ দেখে তাদের প্রশংসা করতাম আরও ভালো করার জন্য, আমারও মন খারাপ! বিদ্যানন্দকেই তাদের এই আবর্জনাগুলা পরিষ্কার করতে হবে। যারা বিদ্যানন্দকে আতশী কাঁচের নিচে রেখেছেন, রাখেন! তাদের ভুল দেখলে ধরিয়ে দেন। কিন্তু এটাকে যেনো একটা প্রায় যুদ্ধের পর্যায়ে আমরা নিয়ে না যাই। বিদ্যানন্দের কাজ আমাদের চোখে পড়েছিল, ভালো লেগেছিল, সেই জন্য প্রশংসা করেছি। খারাপ কাজ করলে সমালোচনা করতে এক মুহূর্তও দেরি করবো না।

‘কে চ্যারিটি করছে, সেটা নিয়ে ফারুকীর কোনোই উত্তেজনা বা বিরাগ নাই’ এমনটি উল্লেখ করে ‘পিঁপড়াবিদ্যা’খ্যাত এই নির্মাতা লেখেন, অনেকেই আমাকে লিখেছেন, আপনারা তো আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নিয়ে লিখেন না! ভাই, জানলে বা তাদের কাজ চোখে পড়লে অবশ্যই লিখবো। আমি কোনো ক্যাম্পান্ধ (ক্যাম্পের অন্ধ অনুসারী অর্থে) মানুষ না, ভাই। আমার বাবা তার জীবনের তিরিশ বছর কাটিয়েছিলেন মসজিদ-মাদ্রাসা আর চ্যারিটি নিয়ে। কে চ্যারিটি করছে, সেটা নিয়ে আমার কোনোই উত্তেজনা বা বিরাগ নাই। বিড়াল সাদা না কালো, তার চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিড়াল ইঁদুর ধরতে পারছে কিনা। আপনাদের কাছেও যেনো এটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, এই দোয়া করি। বিড়ালের রং বা পরিচয় দিয়ে যেনো বিড়ালকে জাজ না করি আমরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।