এক বছর ধরে তমাকে বাসায় গিয়ে পড়াচ্ছেন মিলন। তখন থেকেই তমা আর মিলনের মধ্যে ভালোলাগার শুরু।
একদিন হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় তমার চাচাতো ভাই ফারহান। তাকে দেখে তমার বাড়ির সবাই অবাক। ফারহান আসায় তমার বাবা একদিকে যেমন খুশি তেমনি মনে মনে কিছুটা আতঙ্কিত এই ভেবে যে ফারহান হয়তো তার বাবার সম্পত্তির ভাগ নিতে এসেছে।
তমার মায়ের মাথায় এক বুদ্ধি আসে : তমাকে ফারহানের সঙ্গে বিয়ে দিতে পারলে সব দিক রক্ষা হয়। তবে তমা এই প্রস্তাবে রাজি না। সে এ মুর্হূতে কি করবে বুঝতে পারে না।
পরিস্থিতি যখন জটিল হতে থাকে। এরপর কী হবে জানতে চাইলে চোখ রাখতে হবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনের পর্দায়। কারণ এমন গল্পেই নির্মিত হয়েছে ‘হাত রেখেছি তোমার হাতে’ শিরোনামের টেলিফিল্ম।
শরিফুজ্জামান সাগরের কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে এবং সাকিল সৈকতের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক, সালহা খানম নাদিয়া, সাইফুল ইসলাম,শিল্পী সরকার অপু, আব্দুল্লাহ রানা, শেলী আহসান, মুকুল সিরাজ, অদিতিসহ অনেকে।
নাটকটি প্রসঙ্গে পরিচালক সাকিল সৈকত বলেন, রোমান্টিক ধাঁচের গল্প নিয়ে ‘হাত রেখেছি তোমার হাতে’ টেলিফিল্মটি নির্মাণ করেছি। গল্পের চাহিদা অনুযায়ী অভিনয়শিল্পী বাছাই করেছি। শরিফুজ্জামান সাগর ভাই দুর্দান্ত একটি গল্প লিখেছেন। অভিনয় শিল্পীরাও ভালো অভিনয় করেছে। আশা করছি দর্শকরা খুবই ইনজয় করবে।
অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক বলেন, টেলিফিল্মটির গল্প খুবই চমৎকার। যখন গল্পটি আমি পড়ি মনে হয়েছে বর্তমান সময়ের গতানুগতিক ধারার চেয়ে ভিন্ন কিছু, দর্শক উপভোগ করতে পারবে।
অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া বলেন, সাকিল সৈকত ভাই ভালো ডিরেক্টর। অন্যদিকে ‘হাত রেখেছি তোমার হাতে’ টেলিফিল্মটির গল্প খুবই চমৎকার। সহশিল্পীরাও খুবই ভালো কাজ করেছেন। আমিও চেষ্টা করেছি ভালোভাবে অভিনয় করার। বাকিটা টেলিফিল্মটি দেখে দর্শকরাই বলবেন।
আলোকসজ্জার প্রযোজনায় টেলিফিল্মটির সহযোগী পরিচালক হিসেবে ছিলেন দ্বীন ইসলাম সম্রাট, চিত্রগ্রাহক হিসেবে ছিলেন নুরুন্নবী তরুন এবং এডিট, কালার ও পোস্টার ডিজাইন করেছেন রণি শিকদার জিতু।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
এনএটি