মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ২৯তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে তখন তারার মেলা। কানায় কানায় পরিপূর্ণ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দর্শকদের সামনে একে একে বক্তব্য রাখলেন সৌরভ গাঙ্গুলী, শত্রুঘ্ন সিন্হা, সোনাক্ষী সিন্হা, মহেশ ভাট, অনিল কাপুররা।
সাধারণত চলচ্চিত্র উৎসবে আগত বিশিষ্ট অতিথিদের মুখে গুরুগম্ভীর ভাষণ শুনেই অভ্যস্ত দর্শক। কিন্তু বলিউড ‘ভাইজান’ তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই আপাত গম্ভীর পরিবেশে আগতদের মুখে হাসি ফোটালেন। শুরুতেই কিছু ক্ষণ চুপ থাকার পর বললেন, ‘আমার আগে যারা বললেন আমাকে রীতিমতো বিপর্যস্ত করে দিলেন। কারণ, তারা আর আমার বলার জন্য কিছুই বাকি রাখলেন না। ’
১৩ মে কলকাতার ইস্টবেঙ্গল মাঠে কনসার্ট করেছিলেন সালমান। তখন শহরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিয়ে সালমান বলেন, ‘গতবার দিদি অনুরোধ করেছিলেন। আমি কথা দিয়েছিলাম বলেই আজ এখানে এলাম। ’ এর পরেই তার ছবির বিখ্যাত সংলাপ ধার করে সালমান বলেন, ‘কারণ, একবার আমি কাউকে কথা দিলে তারপর আমি আর নিজের কথাও শুনি না। ’
আগের বার কলকাতায় এসে মমতার বাড়িতে গিয়েছিলেন সলমন। মঙ্গলবার অভিনেতা বলেন, ‘আমি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম যে, দিদি আমার থেকেও ছোট বাড়িতে থাকেন কি না। কিন্তু গিয়ে দেখলাম সত্যিই তাই। ’
অনুরাগীরা জানেন, দেশের প্রথম সারির সুপারস্টার হওয়া সত্ত্বেও মুম্বইয়ের বান্দ্রার গ্যালাক্সি আবাসনের এক কামরার ঘরের বাসিন্দা সালমান। অভিনেতা হাসতে হাসতে বললেন, ‘দিদিকে দেখে সত্যিই হিংসে হয়। কারণ দেখলাম, তিনি সত্যিই আমার থেকেও ছোট একটা বাড়িতে থাকেন। ’
বক্তৃতার মাঝে বেশ কয়েক বার আর কিছু বলার নেই বলে সালমান পোডিয়াম ছাড়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দর্শকদের অনুরোধে আবার বলতে শুরু করেন। আসলে সবটাই তিনি করেছেন মজার ছলে।
মঙ্গলবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনেই বসেছিলেন সালমান। মাঝে মাঝে তাকে মমতার সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। তবে শুধু হিন্দি নয়, সালমান দর্শকদের উদ্দেশে বাংলাতেও কথা বলেছেন। তার মুখে, ‘কলকাতা কেমন আছ?’’ বা ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’র মতো সংলাপ শুনে প্রেক্ষাগৃহে তখন করতালির বন্যা।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩
এইচএ/