ইমামদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ইমামদের নিয়ে বলা কথার একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে সমালোচনার ঝড়ে পড়েন জায়েদ।
অনেকেই জায়েদ খানকে বয়কটের ডাকও দিয়ে তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে ক্ষমা চাইলেন এ চিত্রনায়ক। তার ওই ভিডিওতে তার বক্তব্য এডিট করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন জায়েদ খান।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, , ওনারা যে ভুল বুঝেছেন সে জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী। দুঃখ প্রকাশ করছি এটা একটি পেজ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ কাজটি করেছে। আমি একজন মুসলমান। আমার বাবা হাজি ছিলেন। আপনারা জানেন আমি মদ খাই না। বিড়ি খাই না। আমি নামাজ পড়ি। আমি কুরআন শরিফ পড়ি। আমি প্রচণ্ড পরিমাণে ইসলামকে ভালোবাসি।
একটি ভিডিও কেটে অংশবিশেষ ছড়িয়ে দিয়ে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান জায়েদ খান।
তিনি বলেন, আমি মূলত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সমাজের প্রত্যেক শ্রেণিতে যে কিছু কিছু খারাপ মানুষ রয়েছে সেই কথা বলেছি। এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু ইমাম যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে পত্রিকায়, যারা বলাৎকারের মতো কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে বলেছি।
আর সব বিষয় রেখে মসজিদের ইমামদের প্রসঙ্গ কীভাবে আর কেন এলো?
এ প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, একজন আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার এতগুলো প্রেম, এতো গুজব এসব কেমন লাগে?; তখন আমি বলেছিলাম, ‘নায়ক বলেই তো গুজব ছড়ায়। নায়ক হয়ে যদি গুজব না ছড়ায় তাহলে মসজিদের যারা ইমাম আছে তাদের মতো টুপি দিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। ভদ্র নম্র হয়ে জীবনযাপন করতে হবে, বাসায় থাকতে হবে।
তিনি বলেন, তার মানে ইমামদের আমি ভালো হিসেবে বিবেচনা করেছি। ইমামরা ভালো হয়, নামাজ পড়ায়। তাদের পেছনে সমস্ত জ্ঞানী গুণী মানুষরা নামাজ পড়ে। তাদের পেছনেই তো সেজদা দিই আমরা, আমি কিন্তু ভালো উদ্দেশ্যে বলেছি। তবে কিছু কিছু ইমাম দেখবেন কিছু মসজিদে, যারা শিশু বলাৎকারের মতো কাজ করে এটা গর্হিত কাজ। কিছু কিছু মানুষ এমন সব সমাজেই আছে। তাদেরকে উদ্দেশ্যে বলেছিলাম। সেখানে সকল ইমাম নয়, আলেমের কথা তো ওঠেই নাই। আমি ইসলামের পক্ষে, যারা ইসলামবিরোধী কাজ করে আমি তাদের বিপক্ষে। দ্যাটস ইট।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪
এসএএইচ