‘নিজের খ্যাতিটাও মাঝে মাঝে গলার কাঁটা মনে হয়। সুনাম নষ্ট হবে এই ভয়ে মুখ বুজে কত যে অত্যাচার সহ্য করতে হয় তা আমি আর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা।
সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে মমতাজ আরও লেখেন, যা কিছু অর্জন করেছি তা আমার অনেক কষ্টের অর্জন। মা-বাবা, পীর-মুর্শিদের দোয়াও আছে। আমার এই অর্জনের পেছনে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির হাত না থাকলেও আজ সেটাকে ধ্বংস করতে কতিপয় কিছু ব্যক্তি উঠে পড়ে লেগেছে। যারা কোনোদিনই আমার সুনাম, খ্যাতি, অর্জন, ভালো থাকা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারে নাই, তবুও আমি আমার সাধ্যমতো তাদের কে সম্মান ও সহযোগিতা করে আসছি, কিন্তু লাভ হয়নি! সুযোগ বুঝে ঠিকই আমাকে টেনে হিচড়ে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে।
কিছু অর্থের বিনিময়ে তার নামে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে দাবি করেন মমতাজ। তিনি লেখেন, কষ্টটা হলো আমি যা না, আমি যা করিনি সেই অপবাদ আমাকে দিচ্ছে শুধু মাত্র কিছু অর্থ স্বার্থের বিনিময়ে। আমি জানি সত্যটা ঠিকই একদিন এ দেশের মানুষ জানবে শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র। আল্লাহ তুমি এই স্বার্থপর মানুষগুলোকে হেদায়েত দান করো।
প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জ-২ আসনের টানা দুইবার জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও একবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন মমতাজ বেগম। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ টুলুর কাছে পরাজিত হন এই কণ্ঠশিল্পী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
এনএটি