ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ২০০ কোটি প্রতারণা মামলায় নাম জড়িয়েছে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) হাজিরা দিতে দিল্লি উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
এদিন জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানিয়েছেন। তবে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আদালতকে যুক্তি দিয়েছে। তাদের দাবি, ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত জ্যাকুলিন জেনেশুনেই সুকেশের সঙ্গে প্রতারণায় সামিল হয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাতে জানা গেছে, আদলতে দেওয়া ইডি’র ভাষ্য। তাদের মন্তব্য, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ কখনোই সুকেশের সঙ্গে হওয়া আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রকাশ করেননি এবং সর্বদা তথ্য গোপন করেছেন। তিনি আজ পর্যন্ত সত্যকে সামনে আসতে দেননি। এটিও একটি সত্য যে জ্যাকুলিন সুকেশ চন্দ্রশেখরকে গ্রেপ্তার করার পরে নিজের মোবাইল থেকে সম্পূর্ণ ডেটা মুছে ফেলেছিলেন, যা প্রমাণ নষ্ট করা। তিনি তার সহকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রমাণ নষ্ট করার।
হলফনামায় তদন্তকারী সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, অভিনেত্রী সুকেশের থেকে ৫ কোটি ৭১ লাখ ১১ হাজার ৯৪২ রুপির শুধু উপহারই নেননি, সঙ্গে দুটি বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, যা তার ভাই ও বোনের, সেখানেও ১ লাখ ৭২ হাজার ৯১৩ মার্কিন ডলার ও ২৬ হাজার ৭৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ট্রান্সফারের অনুরোধ করেছিলেন।
ইডি’র হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, অভিনেত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার সময় নিজে থেকে ভুল তথ্য পেশ করে আসছিলেন। যাতে তদন্তকে বিভ্রান্ত করা যায়। তিনি প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রকৃত নাম জানেন সেকথা অস্বীকার করেছিলেন। যা পরবর্তীতে প্রমাণ পেশ করে প্রমাণিত করা হয় যে তিনি মিথ্যা বলছেন।
জানা যায়, মামলাটি বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির আদালতে উঠেছিল। আপাতত অভিনেত্রীর আইনজীবী ইডির হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি রাখা হয়েছে ১৫ এপ্রিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
এনএটি