বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ। এর প্রায় একমাস পর নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
রিটে পরাজিত প্রার্থী সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার নির্বাচন ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।
এ নিয়ে গেল বৃহস্পতিবার এফডিসিতে এসে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডিপজল কথাও বলেন গণমাধ্যমে। তার কথায়, ‘কেস খেলবা, আসো। যেটা খেলার মন চায় সেটাই খেলো। আমরা ভদ্রতা ও নম্রতা চাই। আমরা চাই কীভাবে চলচ্চিত্র এগিয়ে নেওয়া যায়, সেদিকে কাজ করার। আমরা কোনো ঝামেলা চাই না।
একই দিন সমিতির কার্যকরী সভা শেষে সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ডি এ তায়েব জানান, নিপুণের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।
এদিকে, নিপুণ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই ডি এ তায়েবের কথার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, বিষয়টি যেহেতু আদালতে উঠেছে, সেখানেই দেখা যাবে এটা নাটকীয় না রিয়েলিটি।
অভিনেত্রী নিপুণ বলেন, আমি ডিএ তায়েবের মতো একদমই ফ্রি লোক না। তিনি কি অভিনেতা, একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা? তার কোন সিনেমা ব্লকবাস্টার? তিনি কি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিজের নাম নক্ষত্রের সঙ্গে লিখেছেন- তার কাছে আমার প্রশ্ন রইল। আর তিনি আমাকে নিয়ে যেটি বলেছেন, আমার মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেটার জন্য আমি দেশে আসার পর তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলা করব।
চিঠি দেওয়ার পর সাতদিনের মধ্যে সদুত্তর না পেলে নিপুণের সদস্যপদ বাতিল করা হবে- এ ব্যাপারে নিপুণ বলেন, সদস্যপদের সঙ্গে কোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। রিট যেহেতু করেছি, উনাদের কোর্টে আসতেই হবে। আর তিনি যদি সদস্যপদ খারিজ করতেই চায়, তাহলে সেটার জন্যও কোর্ট রয়েছে। দেশে তো আইন রয়েছে।
এর আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসা নিয়েও দ্বন্দ্বে জড়ান নিপুণ এবং চিত্রনায়ক জায়েদ খান। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পর মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এবারের নির্বাচন নিয়েও নতুন কমিটির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন এই নায়িকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৪
এনএটি