আবদার মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। যদিও মানুষ তো মানুষের কাছেই আবদার করবে, এটাই যেন নিয়ম।
গল্পে দেখা যায়- নাদিম একজন সফল ব্যবসায়ী হলেও তার যেন লোভের শেষ নেই। এ যেন আরও চাই আরও চাই স্বভাবকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সুযোগ পেলেই শ্বশুরবাড়ি থেকে নানান অজুহাতে বিভিন্ন জিনিস আবদার করে বসে। নানান বাহানায় নাদিম জানতে চায় কী কী আনা হইছে বিদেশ থেকে। কিন্তু কোনো ভাবেই সে এই তথ্য জানতে পারে না। তার সন্দেহ বেড়ে যায়, না জানি কত কিছু আনছে, কত মানুষরে দিছে, তাকে কেন দিচ্ছে না।
সমন্ধি জানায়, সে এইবার এক কাপড়ে দেশে আসছে। কিছুই আনতে পারে নাই। এই কথা কোনোভাবেই নাদিম বিশ্বাস করে না। ঘটনাক্রমে একবার নাদিম জানায়, টাকা না দিলে স্ত্রীকে তালাক দিবে। বোন জামাইয়ের এমন অদ্ভুত আবদার কি রাখতে পারবে জাকির জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে নাটকটি দেখার জন্য।
গল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজীব মণি দাস জানান, শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের আবদার যেন আমাদের পাওনা সম্পত্তির মতো নিয়ম হয়ে উঠেছে। এটি একটি নাটক হলেও সমাজেরই যেন প্রতিচ্ছবি। এই ধরনের অবিবেচ্য আবদার আজ প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায় রয়েছে। যা অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। এর থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ।
জামাই আবদার প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, আবদার বিষয়টা আসলে থাকতে পারে, কিন্তু সেইটা আলোচনা সাপেক্ষে। জামাইয়ের বিপদে আপদে সামর্থ্য থাকা সত্তে! প্রয়োজনে জামাইকে সহযোগিতা করতে পারে, কিন্তু ধার্য্য করে, চাপ প্রয়োগ করে কিংবা স্ত্রীকে নির্যাতন এইগুলো খুবই ন্যাক্কারজনক কাজ। এই ধরনের চিত্র যেন আজ বাংলার ঘরে ঘরে। সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই এমন একটি নাটক নির্মাণ করা হলো, আশা করি দর্শক নাটকটি থেকে দারুণ একটা মেসেজ পাবে।
নাটকটিতে লোভী জামাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আ.খ.ম হাসান। তার স্ত্রী ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পুনম হাসান জুঁই। এছাড়া আরও অভিনয় করেছেন- তারিক স্বপন, সাহেলা আক্তার, ফরিদ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪
এনএটি