ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

মিথিলার সঙ্গে কিছুক্ষণ

একদিনেই ফেসবুকে আমার ফলোয়ার বেড়ে গেছে

কামরুজ্জামান মিলু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫
একদিনেই ফেসবুকে আমার ফলোয়ার বেড়ে গেছে মিথিলা/ছবি : নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘ভিট-চ্যানেল আই টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় মুকুট জিতলেন গাজীপুরের মেয়ে সুমাইয়া আঞ্জুম মিথিলা। গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে বসেছিলো ‘ভিট-চ্যানেল আই টপ মডেল’ প্রতিযোগিতার তৃতীয় মৌসুমের গ্র্যান্ড ফিনালে।

পুরস্কার হিসেবে পাঁচ লাখ টাকার চেকের পাশাপাশি মিথিলা পাচ্ছেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের ছবিতে অভিনয় করা ও ভিট সামগ্রীর মডেল হওয়ার সুযোগ। বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

বাংলানিউজ : বিজয় মুকুট পরার পর থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
মিথিলা : এটা বলে বোঝানো যাবে না। প্রচুর ফোন ও অভিনন্দন পেয়েছি। আমার মোবাইলের মেসেজ অপশনের ইনবক্স ভর্তি হয়ে গেছে। ফেসবুকে আমার ফলোয়ার বেড়ে গেছে।

বাংলানিউজ : প্রতিযোগিতার শুরুর দিনের সঙ্গে আজকের দিনটির পার্থক্য কেমন মনে হচ্ছে?
মিথিলা : এক কথায় যদি বলি, আগে ছিলাম অন্য দশজনের মতো সাধারণ মেয়ে, আর এখন নিজেকে তারকা মিথিলা মনে হচ্ছে! জানতাম না মানুষ আমাকে এতোটা পছন্দ করবে।

বাংলানিউজ : মঞ্চে বিজয়ীর নাম ঘোষণার মুহূর্তে কেমন লাগছিলো?
মিথিলা : আত্মবিশ্বাস ছিলো ইতিবাচক কিছু একটা হবে। তাই বলে খুব বেশি বা খুব কম আত্মবিশ্বাস ছিলো না। তবে ভয়ও করছিলো!

বাংলানিউজ : পড়াশোনা ও পরিবারের কথা বলুন।
মিথিলা : আমার বাবা আজিজুর রহমান গাজীপুর ক্যান্টনমেন্টে চাকরি করেন। মা হালিমা খাতুন হ্যাপি গৃহিণী। আমরা দুই বোন। আমি বড়। ছোট বোন নাবিলা নবম শ্রেণীতে পড়ে। আর আমি এখন শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে মার্চেন্ডাইজিং বিষয়ে অনার্স শেষ বর্ষে পড়ছি। গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী হলেও ছোটবেলা থেকেই গাজীপুরে থাকি আমি।

বাংলানিউজ : মা, বাবা আর বোন কি চূড়ান্ত অনুষ্ঠান দেখেছেন?
মিথিলা :  হ্যাঁ। নাম ঘোষণার পরপরই মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে ছুটছিলাম, কিন্তু চারদিকে আলোকচিত্রী সাংবাদিকরা ঘিরে ধরায় তা আর পারিনি। প্রায় আধঘণ্টা পর তাদের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি। অনুষ্ঠানে মা, বাবা, ছোট বোন সবাই ছিলো।

বাংলানিউজ : এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ব্যাপারে পরিবার থেকে কেমন সহযোগিতা পেয়েছিলেন?
মিথিলা :  আমার আম্মু সহযোগিতা করেছেন সবচেয়ে বেশি। আজ যা কিছু হয়েছি সবই আম্মুর কৃতিত্ব।

বাংলানিউজ : বিনোদন অঙ্গনের কোন মাধ্যমে কাজ করার ইচ্ছে বেশি?
মিথিলা : আমার মনে হয় মডেলিংয়ের জন্য আমি যুতসই। বিজ্ঞাপনচিত্রে আমি ভালো করবো বলে আত্মবিশ্বাস আছে। বিলবোর্ড মডেল হিসেবে কাজ করতে চাই। ‍অভিনয়টা এখনও পাকাপোক্তভাবে শিখতে পারিনি। শিখেই কাজ করার ইচ্ছে আছে টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে।

বাংলানিউজ : ঘরে ফিরছেন কবে?
মিথিলা :  আরও দু’দিন ক্যাম্পে থাকতে হবে। এরপর বাড়ি ফেরার যাত্রা করবো। ঘরে ফিরতে মনটা উড়ু উড়ু হয়ে আছে!

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।