ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ পৌষ ১৪৩১, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘ম্যাকফারল্যান্ড, ইউএসএ’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫
স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘ম্যাকফারল্যান্ড, ইউএসএ’

ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যাকফারল্যান্ড হাইস্কুলে ১৯৮৭ সালের ক্রস কান্ট্রি দল এবং তার কোচের সংগ্রামী জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত  ‘ম্যাকফারল্যান্ড, ইউএসএ’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ঢাকায়। আগামী ২৭ মার্চ থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে চলবে এটি।

 

 

সত্যি ঘটনা অবলম্বনে ছবিটির পরিচালনা করেছেন নিকি ক্যারো। এতে অভিনয় করেছেন কেভিন কস্টনার, মারিয়া বেলো ও মর্গ্যান সেলর। ওয়াল্ট ডিজনি মোশন পিকচার্স স্টুডিওর পরিবেশনায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাওয়া ছবিটি দর্শক, সমালোচকদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার বাজেটে নির্মিত ‘ম্যাকফারল্যান্ড, ইউএসএ’ আয় করেছে ৩ কোটি ৮৮ লা্খ মার্কিন ডলার।  

‘ম্যাকফারল্যান্ড, ইউএসএ’র গল্পে দেখা যায়- দলের কোচ জিম হোয়াইট রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে দলকে জিতিয়ে আনেন। এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে পরিবার নিয়ে ইদাহো থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমান জিম। এরপর সহকারী ফুটবল কোচ হিসেবে যোগ দেন ম্যাকফারল্যান্ড হাইস্কুলে। একদিন স্কুলের মাঠে খেলার সময় জনি সেমেনিয়েগো নামের এক খেলোয়াড় আহত হলে প্রধান কোচ তাকে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু জিম তাকে থাকতে বলেন। এতে রাগ হন কোচ। এ নিয়ে প্রিন্সিপাল ক্যামিলোর কাছে অভিযোগ করেন তিনি। কিছুদিন পর স্কুল টিম নিয়ে ক্রস কান্ট্রি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের প্রস্তাব নিয়ে ক্যামিলোর কাছে যান জিম। অনুমোদন পাওয়ার পর খেলোয়াড়দের নিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ শুরু করেন। এক পর্যায়ে ম্যাকফারল্যান্ডের অন্য স্কুলের দলের সঙ্গে খেলতে যায় তার দল। সেখানে হেরে গেলেও খেলোয়াড়দের মনোবল ঠিক রাখার জন্য উৎসাহিত করেন জিম। দারিদ্র্যপীড়িত ম্যাকফারল্যান্ডের ছেলেদের সামনে চ্যাম্পিয়নশিপের স্বপ্ন তৈরি করেন তিনি।  

 

অন্যদিকে টানাপোড়েনের সংসারে স্ত্রী-কন্যাদের অনেক স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে রীতিমতো জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করেন জিম। পালো আলতোর জেলা কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেন। এদিকে চ্যাম্পিয়নশিপের দিনও ঘনিয়ে আসে। খেলার দিন নিজেদের দলকে উৎসাহ যোগাতে পুরো জনগোষ্ঠী ঝাঁপিয়ে পড়েন। টান টান উত্তেজনা আর শ্বাসরূদ্ধকর প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় জিমের দল। তুমুল উল্লাসে মেতে ওঠে সমগ্র ম্যাকফারল্যান্ড। ওই বিজয় সেখানকার মানুষের জীবনধারায় যেমন নতুন প্রাণের জোয়ার এনে দেয় তেমনি বদলে দেয় জিমের জীবনও।

 

বাংলাদেশ সময় : ১৮১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।