ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

শাহরুখ-আমিরের নিরাপত্তা কমায়নি পুলিশ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৬
শাহরুখ-আমিরের নিরাপত্তা কমায়নি পুলিশ শাহরুখ খান ও আমির খান

বলিউডের দুই সুপারস্টার আমির খান ও শাহরুখ খানের নিরাপত্তা কমানোর খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। এ ছাড়া বলিউডের অন্য কারও নিরাপত্তা কমানো হয়নি বলেও দাবি তাদের।

আগের মতোই তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সশস্ত্র গাড়ি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক খবরে জানানো হয়, প্রয়োজনীয়তা না দেখায় আমির ও শাহরুখ এবং পরিচালক রাজকুমার হিরানি, প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়া, নৃত্য পরিচালক ফারাহ খান এবং দুই নির্মাতা আলি মোরানি ও করিম মোরানির নিরাপত্তা কমিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তাদের মনে হচ্ছে, চলচ্চিত্র তারকারা এখন কোনো হুমকির মুখে নেই।  তবে কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর, অভিনেতা দিলীপ কুমার, অমিতাভ বচ্চন, অক্ষয় কুমার, প্রযোজক মহেশ ভাট ও মুকেশ ভাটের নিরাপত্তা অটুট রেখেছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।  

কিন্তু এসব খবর অস্বীকার করে মুম্বাই পুলিশের টুইটার পেজে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এখানে বলা হয়, ‘কোনো চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের নিরাপত্তা হ্রাস করা হয়নি। ’ তবে এক মিনিট পরই বক্তব্যটি মুছে ফেলা হয়েছে। এ কারণে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও টুইটার থেকে বক্তব্য মুছে ফেলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পুলিশ।  

গত বছরের শেষের দিকে অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খোলার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য সংগঠনের হুমকির মুখে পড়তে হয় শাহরুখ ও আমিরকে। এ কারণে তাদেরকে ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধ করতে নিরাপত্তার নজরদারি বাড়ানো হয়।

২০১৩ সালে ‘পিকে’ নিয়ে বিক্ষোভের জেরে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল তাকে।  অন্যদিকে ২০১০ সালে ‘মাই নেম ইজ খান’ মুক্তির পর হুমকি ও ২০১৩ সালে হাফিজ মুহাম্মদ সাঈদ পাকিস্তানে বসবাসের প্রস্তাব দেওয়ার পর শাহরুখের ওপর হামলার আশঙ্কায় তার নিরাপত্তার ঘেরাটোপ বাড়ানো হয়েছিলো।

এদিকে নিরাপত্তা কমে যাওয়ার খবর গুজব হলেও আমিরের পরিবর্তে ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া প্রকল্পের মডেল করা হচ্ছে অন্য একজনকে। ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ অমিতাভ বচ্চন।  তাকে বাছাইয়ের প্রধান কারণ পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি। সাম্প্রতিক কালে কোনো বিতর্কে তিনি অন্তর্ভুক্ত হননি। একই সঙ্গে গুজরাট পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে তার জনপ্রিয়তার বিষয়টিও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

অমিতাভ রাজি না হলে পরবর্তী পছন্দ হিসেবে আছেন অক্ষয় কুমার, দীপিকা পাড়ুকোন অথবা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। অসহিষ্ণুতা প্রসঙ্গে বিজেপির তোপে পড়ার পর ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়ার অ্যাম্বাসাডর পদে আমিরের চুক্তিপত্রের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। তিনি বলেছেন, ‘আমি থাকি আর না থাকি, ভারত চিরকাল ইনক্রেডিবল (বিরাট বিস্ময়) থাকবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
বিএসকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।