ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

টেলিভিশন শিল্পের স্বার্থরক্ষায় ‘মিডিয়া ইউনিটি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৬
টেলিভিশন শিল্পের স্বার্থরক্ষায় ‘মিডিয়া ইউনিটি’ ছবি: রাজীন চৌধুরী-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশের টেলিভিশন চ্যানেল বিনিয়োগকারী ও টিভি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা মিলে গঠন করলেন ‘মিডিয়া ইউনিটি’ নামের বৃহত্তম ঐক্য প্ল্যাটফর্ম। একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবুকে আহ্বায়ক ও দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসানকে সদস্য সচিব করে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে ঢাকা ক্লাবের স্কয়ার লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়া ইউনিটির আহ্বায়ক জানান, দেশের ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা এবং প্রয়োজনে আন্দোলনের ঘোষণা দেবে এই সংগঠন। শিগগিরই লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে বসে আমরা সবার জন্য বান্ধব একটি পরিস্থিতি তৈরির জন্য কাজ করবো। ’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়েছে, এ সংগঠনে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিনিয়োগকারী, নাট্যকর্মী, অভিনয়শিল্পী, নির্মাতা, বিজ্ঞাপন নির্মাতা, সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহক, ব্রডকাস্টারসহ সবাই সদস্য থাকবেন। শিগগিরই সংগঠনের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। টিভি চ্যানেল বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টরা অভিন্নভাবে নিজেদের ন্যায্য হিস্যা পেতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন অনুষ্ঠানে।

আশঙ্কার কথা হলো, বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের বাজেটের অনেকাংশ ভারতীয় চ্যানেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বলে জানান বক্তারা। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, অর্থ পাচারের সুযোগ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। আশানুরূপ সহযোগিতা না পেলে টিভি মালিক ও সংশ্লিষ্টরা বিচার বিভাগের কাছে যেতে বাধ্য হবেন বলেও বক্তারা উল্লেখ করেছেন।

বক্তাদের দাবি, টেলিভিশন শিল্প হওয়া সত্ত্বেও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কল্যাণে কিংবা সুরক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা নেই বললেই চলে।  

এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘যারা দেশের বিজ্ঞাপন ভারতীয় চ্যানেলে নিয়ে যাওয়ার পেছনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে, তারা সাংস্কৃতিক রাজাকার। ’ পাশাপাশি কিছুদিনের জন্য সব বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘সাংস্কৃতিক বিনিময় কখনও একতরফা হতে পারে না। ভারতীয় চ্যানেল যদি এখানে দেখানো হয়, তাহলে ভারতকে আমাদের চ্যানেলও দেখাতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি পদক্ষেপ জরুরি। ’

সম্প্রতি কয়েকটি টিভি চ্যানেলে বিদেশি সিরিয়াল বাংলায় ডাব করে প্রচার করছে। এর নিন্দা জানান বক্তারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অভিনয়শিল্পী শহীদুজ্জামান সেলিম, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, নাট্যকার মাসুম রেজা, নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি গাজী রাকায়েত, অভিনয়শিল্পী সংঘের আহসান হাবিব নাসিম, গানবাংলা টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস ও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের বিনিয়োগকারী ও কর্তাব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।