ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

গ্রিস উৎসবে বাংলাদেশের ‘ঘোড়াওয়ালি তাসমিনা’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৬
গ্রিস উৎসবে বাংলাদেশের ‘ঘোড়াওয়ালি তাসমিনা’

গ্রিসের অলিম্পাস পর্বতমালার পাদদেশে পিরগোস শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘অলিম্পিয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ফর চিল্ড্রেন অ্যান্ড ইয়াং পিপল’। ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই উৎসবের প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘অশ্বারোহী তাসমিনা’।

গ্রিসের অলিম্পাস পর্বতমালার পাদদেশে পিরগোস শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘অলিম্পিয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ফর চিল্ড্রেন অ্যান্ড ইয়াং পিপল’। ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই উৎসবের প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘অশ্বারোহী তাসমিনা’।

শিশু-কিশোর ও তরুণদের জন্য শনিবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া উৎসবটি চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দশ দিনের এ আয়োজনে যোগ দিতে পরিচালক ফরিদুর রহমান গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে গেছেন শুক্রবার। তিনি বলেন, ‘শিশুদের জন্য নির্মিত ছবিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিচিত্র মানুষ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র তুলে ধরা হলে তাদের মধ্যে অল্প বয়স থেকে ভিন্ন দেশ ও জাতি গোষ্ঠীর মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ জন্মানোর সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। ’

এবারের উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য ‘চলচ্চিত্রে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও শিশুদের সহনশীলতা’। প্রায় দেড় হাজার ছবির মধ্য থেকে নির্বাচিত ৪২১টি বিভিন্ন দৈর্ঘ্যরে ছবি প্রদর্শিত হবে এতে। মূল প্রতিযোগিতা পর্বে রয়েছে ৩৪টি দেশের ১৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৪৫টি মধ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, অ্যানিমেটেড ছবি ও প্রামাণ্যচিত্র।

চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি উৎসবে রয়েছে তরুণ নির্মাতাদের জন্য ২১টি পাঁচ দিনের চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালা, ছয়টি ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন ওয়ার্কশপ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ১৮টি সেমিনার। পিরগোস, অলিম্পিয়া এবং আমালিয়াদাসহ গ্রিসের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন শহরের স্কুলগুলোতে ছবি প্রদর্শনীর পাশাপাশি অনুষ্ঠেয় সেমিনারে বিদেশি অতিথিসহ গ্রিক নির্মাতারা অংশগ্রহণ করবেন।

‘অশ্বারোহী তাসমিনা’র গল্প বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে নওগাঁ জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের ১১ বছর বয়সী তাসমিনাকে ঘিরে। প্রতিবেশী ও সহপাঠিদের কাছে সে ‘ঘোড়াওয়ালি’ নামে পরিচিত। মেয়েটি তার চেয়ে বেশি বয়সের পুরুষ প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে প্রতিযোগিতায় প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলে দর্শকদের অভিনন্দন বা প্রশংসা জোটে ঠিকই, কিন্তু পুরস্কারের নগদ অর্থ কিংবা দামি পুরস্কারগুলো নিয়ে যায় ঘোড়ার মালিক। তাই তাসমিনার ইচ্ছা, টাকা জোগাড় করে একটা বড় ঘোড়া কিনে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।

পুরুষশাসিত সমাজে তাসমিনার মতো ছোট্ট মেয়েটি সাহসী প্রতিবাদের প্রতীক। অনেক রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সে এগিয়ে চলেছে একটি কষ্টসাধ্য ও প্রায় অবিশ্বাস্য দৌড়ের শেষ প্রান্তে। তাকে সার্বক্ষণিক সমর্থন দিয়ে চলেছেন মা ও বাবা। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন মাহবুবা বেগম হেনা। চিত্রগ্রহণ শোভন বিশ্বাস ও মঞ্জুর আলম। সম্পাদনায় শাহিনুল ইসলাম। গ্রিক সাবটাইটেলসহ দেখানো হবে ১৮ মিনিট ২৫ সেকেন্ড ব্যাপ্তির ছবিটি। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ কয়েকটি উৎসবে অংশ নিয়ে পুরস্কার ও মনোনয়ন অর্জন করেছে ‘অশ্বারোহী তাসমিনা’।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।