ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

ধর্মেন্দ্র নয়, হেমার স্বামী হতে পারতেন জিতেন্দ্র!

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
ধর্মেন্দ্র নয়, হেমার স্বামী হতে পারতেন জিতেন্দ্র! ছবি: সংগৃহীত

জন্মদিনে (১৬ অক্টোবর) বের হচ্ছে বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী হেমা মালিনীর আত্মজীবনী ‘বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’। ‘স্টারডাস্ট’ পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের লেখা এ বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরই মধ্যে বইয়ের অংশ বিশেষে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর তা হচ্ছে, ধর্মেন্দ্র নয়, জিতেন্দ্রর সঙ্গেই বিয়ে হতে যাচ্ছিলো হেমা মালিনীর!

ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী জুটি শুধু পর্দায় নন, বাস্তব জীবনেও জনপ্রিয়। কিন্তু বাস্তব জীবনে এই জুটি প্রায় তৈরিই হচ্ছিলো না।

মাঝে তৃতীয় পুরুষ চলে এসেছিলেন, তিনি আরেক নায়ক জিতেন্দ্র। অবস্থা এতোটাই নাটকীয় ছিলো যে, জিতেন্দ্রই হতে পারতেন হেমার স্বামী।  

ধর্মেন্দ্রর প্রেমে যখন হেমা মশগুল, তখন তার ওপর কড়া নজর রাখাছিলেন হেমার মা জয়া। ফলে লুকিয়ে চুরিয়ে প্রেম করা ছাড়া গতি ছিলো না। জয়া চাইতেন, জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে হোক হেমার। সেই মতো মেয়েকে বোঝাতেন। এর মধ্যেই একদিন হাওয়া হয়ে যান হেমা। সারাদিন উধাও থাকার পর বাড়ি ফেরেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে, তা আঁচ করতে পারেন জয়া। এদিকে ধর্মেন্দ্রও জিতেন্দ্রর সঙ্গে হেমার ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখতেন না। সে সময় দুই নায়ক পরপর বেশ কয়েকটি সিনেমা করছিলেন হেমাকে নিয়ে।  

একদিন এক সেটে গিয়ে হাজির হন ধর্মেন্দ্র। জিতেন্দ্রকে হতবাক করে হেমাকে মেকাপ রুমে টেনে নিয়ে যান। হেমার সঙ্গে জিতেন্দ্রর ভালো বন্ধুত্ব ছিলো। জিতেন্দ্রর প্রেমের কথাও জানতেন হেমা। কিন্তু দু’জন দু’জনকে ভালবাসতেন, এমনটি নয়। ধর্মেন্দ্র বিবাহিত ছিলেন বলেই আপত্তি ছিলো হেমার মা-বাবার। হেমার মা জোর করে তাকে জিতেন্দ্রর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রাজি করান। গররাজি হয়েও পরিবারের ইচ্ছেতেই জিতেন্দ্রও সে সিদ্ধান্ত মেনে নেন। অনেকটা দেখাশোনা করেই বিয়ে হতে চলেছিলো তাদের। প্রায় সব ঠিকঠাকও হয়ে যায়। সেই মতো মাদ্রাজে উড়ে যান জিতেন্দ্র ও হেমার পরিবারের লোকেরা।

এই খবর সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হতেই ধর্মেন্দ্র অবাক হয়ে যান। তিনি ছুটে যান জিতেন্দ্রর তখনকার প্রেমিকার বাড়িতে। তারপর তারা দু’জন পরের ফ্লাইটে গিয়ে পৌঁছান হেমার বাড়ি। সেখানে তখন এক নাটকীয় পরিস্থিতি। ধর্মেন্দ্রকে কিছুতেই ঘরে ঢুকতে দেবেন না হেমার বাবা। অন্যদিকে ধর্মেন্দ্রও অনড়। শেষমেশ হেমা ও ধর্মেন্দ্রর একান্ত কথোপকথনে সম্মতি দেয় পরিবার। বেশ খানিকক্ষণ পর তারা যখন বেরিয়ে আসেন, তখন জিতেন্দ্রর পরিবার রীতিমতো অপমানিত। হেমা মালিনীও জানিয়ে দেন, তিনি জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়েতে নারাজ। তখনই জিতেন্দ্ররা সে স্থান ছেড়ে চলে আসেন। আর পরিবারের অমত থাকলেও শেষমেশ সাতপাকে বাঁধা পড়েন ধর্মেন্দ্র-হেমা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
এসও 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।