ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

পশ্চিমবঙ্গের ৪ উৎসবে জীবন সংকেতের নাটক ‘জ্যোতিসংহিতা’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
পশ্চিমবঙ্গের ৪ উৎসবে জীবন সংকেতের নাটক ‘জ্যোতিসংহিতা’ ‘জ্যোতিসংহিতা’ নাটকের একটি দৃশ্য; ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন উৎসবে ১৬ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রুমা মোদক রচিত ও সুদীপ চক্রবর্তী নির্দেশিত ‘জ্যোতিসংহিতা’ নাটকের পাঁচটি মঞ্চায়ন করবে হবিগঞ্জের নাট্যদল 'জীবন সংকেত'। পশ্চিমবঙ্গের মোট  ৪টি ভেন্যুতে এসব শো করবে তারা। 

মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ‘ঋত্বিক’ আয়োজিত দেশ বিদেশের নাট্যোৎসব, শান্তিপুরের ‘রঙ্গপীঠ’ আয়োজিত রঙ্গপীঠ রঙ্গমেলা আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব, গোবরডাঙার ‘নকশা’ আয়োজিত পঞ্চম জাতীয় নাট্যোৎসব—এই তিন ভেন্যুতে ১টি করে মঞ্চায়ন হবে। আর ‘এবং আমরা থিয়েটার’ গ্রুপের আমন্ত্রণে বোলপুর শান্তিনিকেতনে দুটি শো করবে তারা।

এ উদ্দেশ্যে টানা ১০ দিনের ভারত ভ্রমণে যাচ্ছে জীবন সংকেত নাট্যগোষ্ঠী।

হবিগঞ্জ-সুনামগঞ্জের ভাটি এলাকার বীরযোদ্ধা শহীদ জগৎজ্যোতি দাস ও তাঁর দাসপার্টির অদম্য যুদ্ধগাথারই নাট্যরূপ এই ‘জ্যোতিসংহিতা’ নাটকটি। নতুন প্রজন্মের তরুণদের সঙ্গে তার কথোপকথনের মধ্য দিয়েিএ নাটকে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বহমান স্বাধীনতার চেতনা অন্বেষণের স্বরূপটি। গীত হয় তারুণ্যের জয়গাথা। জগৎজ্যোতি ইতিহাসের একটি হীরন্ময় অধ্যায়েরই এক কিংবদন্তিতুল্য সন্তান ও কুশীলব। যৌবনে প্রগতিশীল রাজনীতির চেতনা তাঁকে উদ্দীপ্ত করেছিল অকুতোভয় সংগ্রামে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে জগৎজ্যোতি দাস ও তাঁর নেতৃত্বাধীন দাসপার্টি ছিলো এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। নিজের আদর্শকে জগৎজ্যোতি অমলিন রেখেছেন জীবনের মূল্যে। জগৎজ্যোতিকে হত্যার পর তাঁর মৃতদেহ নিয়ে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে ওঠে রাজাকার বাহিনী। কিন্তু জগৎজ্যোতির মৃত্যূ হলেও তার আদর্শের মৃত্যু হয় না। চেতনার মৃত্যু হয় না।

বাঙ্গালির অকুতোভয় এই তরুণ বীরযোদ্ধাকে নিয়ে কী ভাবছে স্বাধীনতার সুফলভোগী বর্তমান প্রজন্ম? এই প্রশ্নের পথ ধরেই নাটকটি পৌঁছে যায় এক মহাকাব্যিক অতীতে।

বাংলাদেশ সময়:১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।