ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

যেভাবে ‘জামাই শ্বশুর’ সিনেমায় সুযোগ পান শিমু, জানালেন কাহিনীকার

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
যেভাবে ‘জামাই শ্বশুর’ সিনেমায় সুযোগ পান শিমু, জানালেন কাহিনীকার 'জামাই শ্বশুর' সিনেমার দৃশ্যে রিয়াজের সঙ্গে শিমু

বেশকিছু আলোচিত সিনেমায় কাজ করার সুযোগ হয়েছিল অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর। কয়েকটি সিনেমায় দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করে তিনি আস্থা অর্জন করেছিলেন নির্মাতাদের।

 
হয়তো নিজেকে আরো ভালোভাবে মেলে ধরার সুযোগ ছিল তার। কিন্তু অকালে চলে যেতে হলো এই অভিনেত্রীকে। নির্মমভাবে হত্যার করা হয়েছে তাকে।  

চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদের সঙ্গে ব্যবসাসফল সিনেমা ‘জামাই শ্বশুর’-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শিমুকে। আবদুল্লাহ জহির বাবুর গল্পে শাহাদাৎ খান পরিচালিত একই সিনেমায় আরো অভিনয় করেছিলেন শক্তিমান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, খল-অভিনেতা ওয়াসীমুল বারী রাজীব ও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমাসহ অনেকে। এতে পূর্ণিমার বোনের চরিত্রে দেখা যায় শিমুকে।  

‘জামাই শ্বশুর’ সিনেমায় কীভাবে যুক্ত হয়েছিলেন শিমু, ফেসবুকে সে ঘটনা তুলে ধরেছেন কাহিনীকার আবদুল্লাহ জহির বাবু।

তিনি লেখেন, ‘ছায়াছবির জন্য একজন শিল্পী প্রয়োজন যিনি পূর্ণিমার বড় বোনের চরিত্রে অভিনয় করবেন। তখনই হঠাৎ আমার রাইমা ইসলাম শিমুর কথা মনে পড়ে। পরিচয় হয়েছিল স্বপন চৌধুরী স্যারের অফিসে। তার কথা মনে ছিল শুধুমাত্র, ওর মন খোলা হাসি আর অসাধারণ ব্যবহারের জন্য। আমার বাসার সামনে রামপুরা এলাকায় থাকত। ডাকলাম তাকে, প্রযোজক ফরহাদ ভাই আর পরিচালক শাহাদাত ভাই দেখে এক নজরে নির্বাচিত করলেন শিমুকে। ’ 

তিনি আরো লেখেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যে দিনাজপুরে আউটডোর শুটিংয়ে গেল ইউনিট, দুর্দান্ত কাজ করল শিমু। তারপর অনেক দিনের গ্যাপ। যোগাযোগ ছিল না। ২০১৭ সালে ‘বঙ্গ’তে নাটক সংগ্রহ করতে গিয়ে পরিচালক বি ইউ শুভের সরবরাহ করা নাটকে দেখলাম পরিচালক হিসাবে শিমুর নাম। সাথে সাথে ফোন, উচ্ছ্বসিত হয়ে জানাল, সে এখন ভালো আছে। কাজ করছে এটিএন বাংলায়। নাটক প্রযোজনা করছে। স্বামী দুই সন্তান নিয়ে খুব সুখী। ’

দুঃখ প্রকাশ করে বাবু লেখেন, ‘হায়রে সুখ...নিজের দুঃখটাকে সবসময় লুকিয়েছে মেয়েটা। শুধু একটু সুখের আশায়। আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা, শিমুর সমস্ত জাগতিক ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে, তার আত্মাকে শান্তি দিন। তাকে বেহেস্ত নসীব করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়। ’

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ থেকে বস্তাবন্দী শিমুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের কারণে শিমুকে হত্যা করেছে তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল। এরপর শিমুর লাশ টুকরো করে বস্তায় ভরে গুম করতে সহায়তা করেছেন নোবেলের বন্ধু ফরহাদ।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।