ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

‘মুনফল’ চলছে স্টার সিনেপ্লেক্সে

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২
‘মুনফল’ চলছে স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘মুনফল’র পোস্টার

চাঁদ তার কক্ষপথ থেকে সরে এসেছে! ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এই বিপর্যয় থেকে উদ্ধারের পথ কী? একজন সাবেক মহাকাশচারী, একজন নাসা বিজ্ঞানী ও একজন ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক পৃথিবীকে এই বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে মিশনে নেমেছে।

আর এই মিশনের গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে সায়েন্স ফিকশন ডিজাস্টার ঘরানার সিনেমা ‘মুনফল’।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। রোনাল্ড এমরিখ পরিচালিত অগণিত দর্শকের কাঙ্ক্ষিত এ সিনেমাটি ঢাকায় স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় প্রদর্শিত হচ্ছে।

‘মুনফল’-এ হ্যালি বেরি, প্যাট্রিক উইলসন ও জন ব্রাডলিসহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন।

পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ, যা লক্ষকোটি বছর ধরে নির্দিষ্ট দূরত্বে এর চারদিকে ঘুরছে। সৃষ্টির শুরুতে চাঁদ পৃথিবীর আরও কাছে ছিল।  

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন থেকে প্রায় ৬০ কোটি বছর পরে চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরবে না। চাঁদ তখন পৃথিবীর কাছে একটি দূরের তারা হয়ে থাকবে। খালি চোখে চাঁদের সৌন্দর্য আর দেখাই হয়তো যাবে না। পৃথিবী থেকে অনেক দূরের কোনো কক্ষপথে ঘুরবে। মানব সভ্যতা টিকে থাকলেও দেখবে না সূর্যগ্রহণ কিংবা জোয়ার ভাটা। সূর্যের আলোয় বাঁধা দেবে না চাঁদ। পৃথিবীকে দিতে পারবে না ছায়াও। সমুদ্রের পানি বাষ্প হয়ে যাবে তত দিনে, পৃথিবী উষ্ণ হবে অনেক বেশি। শত কোটি বছর পরে, সূর্য চাঁদকে কক্ষপথ থেকে পুরোই বিচ্যুত করে দেবে। পৃথিবীর পরিণতিও হবে ভয়াবহ।  

বিজ্ঞানীদের এমন পূর্বাভাসকে উপজীব্য করেছেন হলিউডের খ্যাতিমান পরিচালক রোনাল্ড এমরিখ। ‘ইনডিপেনডেন্স ডে’, ‘দ্য ডে আফটার টুমরো’  ‘২০১২’ একের পর এক সায়েন্স ফিকশন আর পৃথিবীর বিপর্যয় নিয়ে সিনেমা নির্মাণে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন এই নির্মাতা। এবার তিনি নিয়ে এসেছেন ‘মুনফল’।  

২০১৬ সালে ‘ইনডিপেনডেন্স ডে: রিসারজেন্স’-এর পরে ‘মুনফল’ তৈরিতে তিনি সময় নিলেন পাঁচ বছর। ৬৬ বছর বয়সী এই নির্মাতা এই প্রকল্পটি নিয়ে আসেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। সেখান থেকে তিনি প্রচুর তহবিলও সংগ্রহ করেন। যেন সিনেমাটি স্বাধীনভাবে নির্মাণ করা যায়। করোনা মহামারির মধ্যেও শেষ পর্যন্ত সিনেমাটি পর্দায় আনতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এমরিখ।  

হলিউড রিপোর্টারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ ধরণের ছবি নির্মাণ রীতিমত চ্যালেঞ্জিং। তাই সময় নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কোভিডের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন ছিল। শেষ পর্যন্ত সিনেমাটি দর্শকদের সামনে আসছে এটা আনন্দের। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।