ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

জীবনের ৬৪ বসন্তে হানিফ সংকেত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
জীবনের ৬৪ বসন্তে হানিফ সংকেত

কথার জাদু দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেশব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন হানিফ সংকেত।  একধারে  উপস্থাপক, পরিচালক, অভিনেতা, প্রযোজক, লেখক; নানামাত্রিক গুণের মানুষ তিনি।

তার জনপ্রিয়তা এখনো বহমান। নন্দিত এই মানুষটির জন্মদিন রোববার (২৩ অক্টোবর)।  

১৯৫৮ সালের আজকের এই দিনে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন হানিফ সংকেত। প্রয়াত ফজলে লোহানীর ‘যদি কিছু মনে না করেন’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান দিয়ে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। এরপর তিনি দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ নিয়ে হাজির হন।  

এখনো তিনি স্যাটেলাইট চ্যানেলের রাজত্বেও ‘ইত্যাদি’ নিয়ে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে রাজত্ব করে চলেছেন। তার পরিচালিত ও উপস্থাপিত অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে তিনি সামাজিক অসঙ্গতি, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম তুলে ধরেন।

কিছুটা রম্যভাবে তিনি সমসাময়িক নিন্দিত ঘটনার বর্ণনা ও তার বিরোধিতা করে সামাজিক করণীয় তুলে ধরেন তিনি। হানিফ সংকেত নিজের কাজের ব্যাপারে খুব সচেতন একজন মানুষ।

নাটক পরিচালনাতেও হানিফ সংকেত দেখিয়েছেন নির্মাণের মুন্সিয়ানা। তার পরিচালিত জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে ‘আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়’, ‘দুর্ঘটনা’, ‘তোষামোদে খোশ আমোদে’, ‘কিংকর্তব্য’, ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’, ‘শেষে এসে অবশেষে’ উল্লেখযোগ্য।

চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন হানিফ সংকেত। বেশ কয়েকটি ব্যঙ্গ ও রম্য রচনা লিখেছেন তিনি। ‘চৌচাপটে’, ‘এপিঠ ওপিঠ’, ‘ধন্যবাদ’, ‘অকাণ্ড কাণ্ড’, ‘খবরে প্রকাশ’, ‘ফুলের মতো পবিত্র... ’, ‘প্রতি ও ইতি’, ‘আটখানার পাটখানা’ অন্যতম। এছাড়া তার লিখিত রম্য সাহিত্য পাঠক সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়।

সামাজিক কার্যক্রমের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে একুশে পদক পুরস্কার পান হানিফ সংকেত। পরিবেশ শিক্ষা ও প্রচারের জন্য ২০১৪ সালের জাতীয় পরিবেশ পদক দেয়া হয় তাকে। এ ছাড়া তিনি দেশে-বিদেশে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।