ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

সুন্দরবন বিনাশী সব কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
সুন্দরবন বিনাশী সব কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি

ঢাকা: সুন্দরবন বিনাশী সব কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়েছে প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক বেশ কয়েকটি সংগঠন। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুন্দরবন দিবস-২০২৩ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও র‌্যালি থেকে এ দাবি করা হয়।

 

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন, নাগরিক উদ্যোগ, উন্নয়ন ধারা ট্রাষ্ট,  উবিনীগ, বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সিডাস, ক্যাপস, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ বাউল ও লোকশিল্পী সংস্থা, নগরবাসী পরিবেশ আন্দোলন, হকার্স ইউনিয়ন ও গ্রিন ভয়েসসহ অন্যান্য পরিবেশবাদী সংগঠন যৌথভাবে এই কর্মসূচি পালন করে।

বাপা সহ-সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, স্থপতি ইকবাল হাবিব, আলমগীর কবির, বাপা নির্বাহী সদস্য ও সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাপা নির্বাহী সদস্য ও নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সুন্দবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, পুরান ঢাকা পরিবেশ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি নাজিম উদ্দীন, নগরবাসী পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি হাজী শেখ আনছার আলী, গ্রিন ভয়েস ঢাকা বিভাগের সভাপতি আব্দুস সামাদ প্রধান,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের জিলানী, ইসরাত জাহান, তিতলী নাজনিন প্রমুখ।

সভাপতির বক্ত্যবে অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, সুন্দরবন দক্ষিণ এশিয়ার ফুসফুস। সুন্দরবন এদেশের রক্ষা কবজ। যতবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসেছে, ততবারই সুন্দরবন মায়ের মতো তার বুক দিয়ে আগলে রেখেছে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলকে। তথাকথিত উন্নয়নের ফলে শুধু সুন্দরবনই নয়, বরং দেশ থেকে সব ধরনের বন আজ ধংসের দারপ্রান্তে।

তিনি বলেন, আমরা উন্নয়ন বিরোধী না, তবে যেসব উন্নয়ন দেশের পরিবেশ বন ও প্রকৃতি উজাড় করে করা হয় সে ধরনের উন্নয়ন আমরা চাই না।

স্থপতি ইকবাল হাবিব বাংলাদেশের একমাত্র ম্যানগ্রোভ বন ও দেশের একমাত্র রক্ষা কবজ সুন্দরবন রক্ষার জন্য সমাবেশ থেকে দুই হাত জোড় করে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান। অসংখ্য জীববৈচিত্রের আঁধার খ্যাত সুন্দরবন থেকে উন্নয়নের নামে সব ধরনের বন বিনাসী কর্মকাণ্ড বন্ধেরও দাবি জানান তিনি।

মিহির বিশ্বাস বলেন, এই ভালোবাসা দিবস হোক সুন্দরবনসহ দেশের সব বনকে ভালোবাসার। কারণ দেশের ফুসফুস খ্যাত এই বনকে রক্ষা করতে না পারলে আমরা কেউ ভালো থাকব না। সুতরাং চলুন আমরা দেশের বনকে ভালোবাসি, প্রকৃতি এবং দেশকে ভালোবাসি।

আলমগীর কবির বলেন, সুন্দরবনকে বাঁচাতে না পারলে বঙ্গবন্ধুর সেই বাণীকে অবমাননা করা হবে। নতুন প্রজম্মের মধ্যে এ বনের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের মানুষের মধ্যে সুন্দরবন বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সুন্দরবন ধ্বংস হলে দেশের মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।

এছাড়াও দিবসটি উদযাপন বাপা মোংলা শাখায় ‘বাঁচাই সুন্দরবন বাঁচাই পরিবেশ, টেকসই হোক আমাদের বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন একাডেমি, ব্লু-প্লানেট ইনিশিয়েটিভ (বিপিআই), বাদাবন সংঘ এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের  যৌথ উদ্যোগে আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে মোংলা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক সমাবেশ ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) মোংলা শাখার আহ্বায়ক মো. নূর আলম শেখ।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর দাশ, শিক্ষাবিদ সুনীল কুমার বিশ্বাস, সুন্দরবন জাদুঘরের পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জেমস্ শরৎ কর্মকার, সুন্দরবন একাডেমির সুনীতি রায়, বাদাবন সংঘের অজিফা খাতুন, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম লিডার আলমগীর শিকদার, জেলে সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল, বাপা নেতা নাজমুল হক, আব্দুর রশিদ হাওালাদার, কমলা সরকার, শেখ রাসেল, হাছিব সরদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
আরকেআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।