ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বসন্তের অশোক ফুলের দেখা গ্রীষ্মে!

শেখ তানজির আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
বসন্তের অশোক ফুলের দেখা গ্রীষ্মে!

সাতক্ষীরা: অশোক গাছে ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বসন্তকাল, হেমন্ত ও শীতেও অল্প সংখ্যায় ফুটে থাকে এ গাছের ফুল। তবে, ভরা গ্রীষ্মেও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ চত্বরে দেখা মিলেছে ফুলটির।

অশোক গাছের ফুল অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এই ফুল সৌন্দর্য পিপাসু যে কোনো ব্যক্তির মন কাড়বে অনায়াসে। তবে, আমাদের পরিবেশে সচারাচার অশোক গাছের দেখা মেলে না।

গাছটি সম্পর্কে উইকিপিডিয়া বলছে, অশোক মাঝারি আকৃতির ছায়াদানকারী চিরসবুজ বৃক্ষ। এদের পাতার রঙ গাঢ়-সবুজ। পাতাগুলো দীর্ঘ, চওড়া ও বর্শাফলাকৃতির। কচিপাতা কোমল, নমনীয়, ঝুলন্ত ও তামাটে। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বসন্তকাল। তবে হেমন্ত অবধি এ গাছে ফুল ফুটতে দেখা যায়। শীতকালেও এরা অল্প সংখ্যায় ফুটে থাকে। অশোক ফুল গাছের কাণ্ড থেকে ফোটে। ফুল আকারে ছোট, কিন্তু বহুপৌষ্পিক, ছত্রাকৃতি। মঞ্জরি আকারে বড়। অজস্র ফুলের সমষ্টি অশোকমঞ্জরি মৃদু গন্ধযুক্ত এবং বর্ণ ও গড়নে আকর্ষণীয়। তাজা ফুলের রঙ কমলা, কিন্তু বাসী ফুল লাল রঙ ধারণ করে। পরাগকেশর দীর্ঘ। ফল বড়সড় শিমের মতো চ্যাপ্টা, পুরু এবং ঈষৎ বেগুনি রঙের।

রবীন্দ্রনাথ কবিতায় লিখেছিলেন, পুরাকালে নাকি অশোকবৃক্ষে নারীর চরণস্পর্শে ফুল জেগে উঠতো। সিদ্ধার্থ লুম্বিনীর এক অশোকতরুর নিচে জন্মেছিলেন। অশোক গাছ হিমালয়ের পাদদেশবর্তী অঞ্চলে লভ্য। রাজধানী ঢাকার বলধা গার্ডেনের সংরক্ষিত অংশটিতে একটি অশোক গাছ আছে।

অশোক গাছের ফুল ভারতের ওড়িশার রাজ্যের রাজ্য ফুল। এই গাছের ছাল, ফুল ও বীজের নানা ঔষধি গুণাগুণও আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।