রাজবাড়ী: শামুকখোল পাখির পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের খালকুলার বাঁওড়।
এ বাওড়ের চারপাশে প্রায় দুই শতাধিক শামুকখোল পাখি গত এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান করছে।
স্থানীয়রা বলছেন, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এর আগে কখনো এ পাখির সমাগম ঘটেনি। তাই শামুকখোল পাখি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন নানা বয়সের মানুষ। নীল আকাশে পাখিগুলোর ওড়াউড়ি দেখে দর্শনার্থীদের মন জুড়িয়ে যাচ্ছে।
ইন্টারনেট থেকে জানা যায়, শামুকখোল পাখি খুবই নিরীহ। এ পাখি শব্দ করে ডাকতে পারে না। ২০ থেকে ২৫ বছর আগেও বাংলাদেশে এ পাখি দেখা যেত না। এ পাখির বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ, পর্যাপ্ত খাবার এবং নানাবিধ সুবিধার কারণে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় শামুকখোল পাখির দেখা মিলছে। সারা পৃথিবীতে এদের আবাস। অদ্ভুত ঠোঁটের জন্য খুব সহজেই অন্যান্য পাখি থেকে এদের পৃথক করা যায়।
বাওড়ে গিয়ে দেখা যায়, বাওড়ের চারপাশে পাখিগুলো পানির মধ্যে খেলছে। কখনো আবার খাবারের সন্ধানে এপাশ থেকে ওপাশে যাচ্ছে। বাওড়ের পূর্বপাশে রয়েছে বিশাল বাঁশের বাগান। পাখিগুলো কখনো পানিতে আবার কখনো বা বাঁশের ওপর গিয়ে বসছে। শামুকখোল পাখি দেখতে অনেকেই এসেছেন।
এ গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল শেখ বলেন, পাখিগুলো আমাদের কাছে অচেনা। হঠাৎ করে দেখি বাওড়ে অনেক অতিথি পাখি এসেছে। পাখিগুলো দেখে গ্রামবাসী আনন্দিত।
দর্শনার্থী সুকুমার ভৌমিক ও পলাশ সরকার বলেন, প্রতিদিন আমরা এ বাওড়ের পাশের বালিয়াকান্দি-মধুখালী সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করি। এখানে তেমন একটা পাখির দেখা মেলে না। হঠাৎ কয়েক দিন ধরে দেখতে পাচ্ছি শামুকখোল পাখি। প্রকৃতি যেন নতুন সাজে সেজেছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম জানান, বালিয়াকান্দিতে শামুকখোল পাখি এসেছে। পাখিগুলো যাতে কেউ শিকার করতে না পারে, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
এসআই