পঞ্চগড়: লাখ টাকা দামে তক্ষক পাচারের চেষ্টাকালে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে উদ্ধার করা তক্ষকটি পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন অবমুক্ত করেছেন।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে সামাজিক বন বিভাগ পঞ্চগড় কার্যালয় চত্বরের বাঁশ বাগানে তক্ষকটি অবমুক্ত করা হয়। এর আগে দুপুরে ওই চক্রের এই দুইজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আটকরা হলেন- পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া কাজীপাড়া এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা গোলাপ (৫৩) ও আটোয়ারী উপজেলার ভুজারিপাড়া এলাকার মনিন্দ্রনাথের ছেলে পিজুস সরকার (৪২)।
বোদা থানা পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বোদা পৌরসভার জমাদারপাড়া এলাকায় গোলাম মোস্তফা ও পিজুস সরকার তক্ষকটি নিয়ে অবস্থান করছিলেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বোদা থানার উপপরিদর্শক মনজুরুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছে থাকা একটি শপিং ব্যাগ থেকে ওই তক্ষকটি উদ্ধার করা হয়। তক্ষকটি ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অবমুক্ত করার সময় সামাজিক বন বিভাগ পঞ্চগড়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা মধুসুধন বর্মনসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক বন বিভাগ পঞ্চগড় কার্যালয়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা মধুসুধন বর্মন সাংবাদিকদের জানান, তক্ষকটি লম্বায় ১৩ ইঞ্চি। এটি টিকটিকি গোত্রের একটি প্রাণী। পা মাথা ও শরীরে খয়েরি ও সাদা রঙের ফোটা ফোটা ছাপ রয়েছে। প্রতারক চক্র এই প্রাণীটিকে লাখ টাকায় বিক্রি করে মানুষকে প্রতারিত করে। তবে পুলিশ এই বিলুপ্ত প্রাণীটিকে জব্দ করলে আদালতের নির্দেশে আবারো অবমুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
আরএ