ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বরগুনায় বাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বরগুনায় বাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত 

বরগুনা: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উঁচু জোয়ারের চাপে বরগুনায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) দুপুরের পর এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানি বেড়ে দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা।  

এর মধ্যে আমতলী উপজেলার আড়পাংগাশিয়া ইউনিয়নের পশরবুনিয়া এলাকায় তিনটি ও সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা এলাকায় দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেন জানান, নদীর তীরে আমার বাড়ি হাওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে আমাদের এখানে উত্তর ডালভাঙ্গা এবং মাছখালি গ্রাম তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

পশরবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আফজাল সিকদার বলেন, আগে থেকেই আমাদের এখানকার বেড়িবাঁধটির অবস্থা নাজুক। রিমালের প্রভাবে বৃষ্টির হওয়ায় বাঁধ ভিজে আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। সরকারি স্কুলে যাচ্ছি রাত কাটানোর জন্য।

মাছখালী গ্রামের বাসিন্দা রুবেল হোসেন বলেন, দিনের জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় রাতের জোয়ার নিয়ে আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। কারণ রাতে যখন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে, তখন পানি আরও বাড়তে পারে। আমাদের এখানে আশ্রয়কেন্দও নেই। তাই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।

এ বিষয়ে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, আগে থেকেই বরগুনার পাঁচটি স্থান থেকে দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেই ভেঙে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামত করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।