হাজারও মাইল দূরে হলেও অসুবিধা নেই, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতার উত্তাপ আপনি টের পাবেন বাংলাদেশে বসেই। বিশ্বকাপ এলেই এই দুটি দল নিয়ে তর্ক তো বটেই মারামারি পর্যন্ত লেগে যায় সমর্থকদের মধ্যে।
তবে আলবিসেলেস্তেদের গায়ে আরো একবার চ্যাম্পিয়নের ট্যাগ বসুক, এমনটা চান না ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিও। তবে লিওনেল মেসির হাতে শিরোপা দেখলে বরং খুশিই হবেন তিনি। মুন্দো দেপোর্তিভোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন অদ্ভুত চাহিদার কথাই বললেন দুটি বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।
রোনালদো বলেন, ‘মেসি বিশ্বকাপ জিতলে আমি খুশি হব। তবে ব্রাজিলিয়ান হিসেবে নয়। আর্জেন্টিনার সঙ্গে অসাধারণ প্রতিদ্বন্দ্বীতা আছে আমাদের। তাই যদি বলি আর্জেন্টিনা জিতলে আমি খুশি হব, তাহলে লোকে ভণ্ড বলবে। ’
রোনালদো যোগ করেন, ‘আর্জেন্টিনা অসাধারণ ফুটবল খেলে না, তবে তাদের অবিশ্বাস্য ইচ্ছ্বা আছে। তারা একসঙ্গে প্রচুর দৌড়ায়। তাদের সবার মধ্যেই আগ্রাসী মানসিকতা আছে এবং এরপর আসে মেসির কথা, যে কি-না একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে বক্সে হানা দেয়। তাই যদি সে জেতে, তাহলে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি হব। ’
তার হাত ধরেই সবশেষ ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। এরপর কেটে গেছে ২০ বছর ও পাঁচটি আসর। কিন্তু কোনোটিতেই হেক্সা জয়ের উৎসব করতে পারেনি সেলেসাওরা। কাতার বিশ্বকাপে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের যাত্রা থমকে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। তাই দলের পারফরম্যান্সে খুবই হতাশ রোনালদো।
কিংবদন্তি এই ফুটবলার বলেন, ‘অতিরিক্ত সময়ে গোল দেওয়ার পর কীভাবে সময় নষ্ট করতে হয় তা আমরা জানতাম না। আমাদের আরো বেশি স্মার্ট হওয়া দরকার ছিল। এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটাই ছিল একমাত্র পন্থা। ’
বিশ্বকাপের পর আবারও জাতীয় দলে খেলার ব্যাপারে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেন নেইমার। যদিও রোনালদোর বিশ্বাস ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলবেন তিনি। কিংবদন্তি এই ফুটবলার বলেন, ‘ব্রাজিলের ফল নিয়ে সে খুবই হতাশ। এই মুহূর্তে এমনটা অনুভব করাই স্বাভাবিক। তবে আমি নিশ্চিত সে আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে এবং ব্রাজিলের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবে। সে এখনো তরুণ এবং আগামী বিশ্বকাপ খেলতে পারে। ব্রাজিলের হয়ে শেষ ছয় মাসে সে যে নিবেদন দেখিয়েছে তাতে আমি গর্বিত। ’
বাংলাদেশ সময় : ১০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এএইচএস