এবারের বিশ্বকাপে সকলের মন জয় করে নিয়েছে মরক্কো। অপ্রত্যাশিত ভাবে আফ্রিকান প্রথম দল হিসেবে খেলেছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে।
মরক্কোর খেলোয়াড় হাকিম জিয়াচের মহানুভবতার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন মরক্কান সাংবাদিক থালিদ বেদৌন। জাতীয় দল থেকে প্রাপ্ত আয় কখনোই নিজের প্রয়োজনে খরচ করেন না জিয়াচ। পুরোটাই দান করে দেন দেশের ফুটবলের সাথে জড়িয়ে থাকা নিম্নবিত্ত মানুষ ও দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা দরিদ্রদের। এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকে বোনাসবাবদ তিন লাখ ২৫ হাজার ডলার পাচ্ছেন জিয়াচ। এই অর্থও নিজের জন্য খরচ করবেন না তিনি। পুরোটা অর্থই দেশের গরিব-দুঃখী মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাতে বিশ্বজুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন এই তারকা।
নেদারল্যান্ডসে জন্ম নেয়া হাকিম জিয়াচ খেলেছেন ডাচদের বয়সভিত্তিক একাধিক দলে। ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের কমলা রঙের জার্সিতে অভিষেক হতে পারত। কিন্তু আয়াক্স মিডফিল্ডার জাতীয় দল হিসেবে বেছে নিয়েছেন নিজের শেকড়কে। পিতৃভূমি মরক্কোর হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০১৫ সালে মরক্কানদের জার্সিতে অভিষেক হয় তার। এরপর থেকেই জিয়াচ জাতীয় দল হতে প্রাপ্ত অর্থ কল্যানের কাজে ব্যায় করেন।
মরক্কোর হয়ে ৪৭ ম্যাচে ১৯টি গোল করেছেন জিয়াচ। কিন্তু পুরনো কোচের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে জানুয়ারিতেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে কোচকেই সরিয়ে দেয়া হয়। নতুন কোচ ওয়ালিদ রেগরাগির অধীনে কাতার বিশ্বকাপে চমক দেখিয়েছে মরক্কো। দলীয় পারফরম্যান্সের সুফল হিসেবে সবচেয়ে বড় চমক তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এআর