রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকেই দেশের সর্বস্তরে চলছে বদলের হাওয়া। ক্রীড়াঙ্গনেও এর ব্যাতিক্রম নয়।
তবে সেসবের তোয়ক্কা না করে চেয়ার ধরে বসে আছেন বাফুফের প্রেসিডেন্ট। আজও তার পদত্যাগের দাবি নিয়ে বাফুফে ভবনের সামনে হাজির হয়েছিলেন সাবেক ফুটবলার এবং সমর্থকরা। দিয়েছেন ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম এবং বাফুফের নির্বাচন পেছানোর দাবি তুলেছেন তারা। এর মধ্যে সালাউদ্দিনের কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম। তার মতে, বিবেকবোধ থেকে পদত্যাগ করা উচিত সালাউদ্দিনের।
দেশের ফুটবলের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক আমিনুল ছাড়াও আজ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম, সাবেক তারকা গোলরক্ষক সাঈদ হাসান কানন, রুম্মন ওয়ালি বিন সাব্বিরসহ সাবেক ফুটবলাররা। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগ চেয়ে বাফুফে ভবনের সামনে মানববন্ধন হয়েছে। তবে সেই দাবি কানে তোলেননি সালাউদ্দিন। বরং আসন্ন নির্বাচনেও অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সাবেক এই ফুটবলার।
মানববন্ধনকারীরা বাফুফে ভবনে ঢুকে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাদের দাবি ও আল্টিমেটামের কথা জানান। এ সময় সালাউদ্দিন বাফুফে ভবনে ছিলেন না। মানববন্ধনে সাবেক তারকা ফুটবলার ও বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক বাফুফের নির্বাচন পেছানোর আহ্বান জানান। বাফুফের নির্বাচিত কমিটির চার বছর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর।
ইতোমধ্যে বাফুফে ফিফার কাছে সময় চেয়ে ২৬ অক্টোবর নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করেছিল। আমিনুল নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বন্যা ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন পেছানোর জন্য ফিফার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি। ’
নির্বাচন পেছালে এবং কাজী সালাউদ্দিন পদত্যাগ না করলে বিষয়টি বিলম্বিত হবে। সালাউদ্দিন পদত্যাগ করার পর নির্বাচন আয়োজনের দাবি স্পষ্ট করে আমিনুল বলেন, ‘দেশের জনপ্রিয় খেলা ফুটবলে দুর্নীতি হয়েছে। তার সভাপতি থাকার নৈতিক কোনো অধিকার নেই। বিবেকবোধ থাকলে তিনি পদত্যাগ করবেন। আমরা তার অধীনে ফুটবল ফেডারেশনে কোনো নির্বাচন চাই না। এই ব্যাপারটি একেবারে স্পষ্ট। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৪
এআর/এমএইচএম