মালদ্বীপের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সফরকারীদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল কোচ হাভিয়ের কাবরেরার দল।
ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। আজ ম্যাচে এক পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজান কাবরেরা। আগের ম্যাচে শুরুর একাদশে থাকা সায়েদ কাজেম কিরমানির জায়গায় সুযোগ পান মজিবর রহমান জনি।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে মালদ্বীপের বক্সে হানা দেয় বাংলাদেশ। ডানপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন জনি। তবে তার দেওয়া পাস থেকে সুবিধা আদায় করে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে তপু বর্মনের ভুল পাস থেকে ঠিকই ফায়দা তুলে নেয় মালদ্বীপ। তার ভুলের মাশুল দিয়ে খেলার ২৪ মিনিটে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে স্বাগিতকরা। আগের ম্যাচের মতো এবার মালদ্বীপকে এগিয়ে দেন আলি ফাসির। প্রথম ম্যাচের ১৮ মিনিটে তিনিই লিড এনে দিয়েছিলেন দলকে।
বক্সের বা প্রান্ত থেকে দেওয়া তপুর পাস বাংলাদেশের অর্ধে পেয়ে যায় মালদ্বীপ। ফিরতি পাস পেয়ে তপু আর সাদ উদ্দিনকে কাটিয়ে আলি ফাসির পরাস্ত করেন মিতুলকে। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক দৃষ্টিকটু ব্যাক পাস দিয়ে গেছেন তপু। শেষ পর্যন্ত নড়বড়ে তপুতেই সর্বনাশ ডেকে আনে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ গোলের সুযোগ পায় খেলার ৪০ মিনিটে। রাকিবের আড়াআড়ি ক্রস থেকে গোলমুখে শট নেন ফাহিম। মালদ্বীপের গোলরক্ষক হুসাইস শারিফ ফিস্ট করলে বক্সেই বল পান মোরছালিন, এবার এই স্ট্রাইকারের শট যায় বক্সের অনেকটা উপর দিয়ে। পরের মিনিটে বাংলাদেশের আরেকটি আক্রমণ প্রতিহত হয় মালদ্বীপের রক্ষণের সামনে।
৪৩ মিনিটে মোরছালিনের সঙ্গে ফাহিমের দেওয়া নেওয়ার পর বল পেয়ে যান জনি। পায়ে বল নিয়ে সামনে থাকা প্রতিপক্ষের চারজন ডিফেন্ডারকে বোকা বাকিয়ে জোড়ালো শট নেন গোলে। মালদ্বীপের গোলরক্ষক ডান দিকে ঝাপিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলেও বলের নাগাল পাননি তিনি। বিরতির দুই মিনিট আগে ১-১ গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় গোলের দেখা পেলেন জনি। আর ২০২৩ সালের পর এ নিয়ে তৃতীয় গোলের দেখা পেল বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে বাংলাদেশ আরও একটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তা কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করে মালদ্বীপের ডিফেন্ডার। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধে ১-১ গোলের সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
এআর/আরইউ