ঢাকা: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রাজিলের খেলার ধরণে হতাশা ঝরেছে পেলের কণ্ঠে। সেলেকাওদের শৈল্পিক বা সুন্দর ফুটবলের অস্তিত্ব আর নেই বলেই অনুভব করছেন তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ী।
গত বছর কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ার আগে ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিতে জার্মানির কাছে ৭-১ বিধ্বস্ত হয় ব্রাজিল। পেলে অনুভব করছেন, সাম্প্রতিক ফলাফলই প্রমাণ করছে বিশ্ব ফুটবলে ব্রাজিল টিমের আধিপত্য আর নেই।
ইএসপিএন’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পেলে বলেন, ‘এটা সম্পর্কে (ব্রাজিল বিশ্বকাপ) বলতে গিয়ে আমি দুঃখ অনুভব করছি। ওই ম্যাচটা (জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হার) দেখে আমি কেঁদেছিলাম এবং তা স্কোরের জন্য নয়। আমি কেঁদেছি কারণ ওই মুহূর্তটাই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের আনন্দের কী হয়েছিল সেটিই তখন আমার বোধগম্য ছিল না। যা আমাকে ব্যথিত করেছিল। ’
অচিরেই ব্রাজিল দল ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশাবাদী পেলে, ‘হয়তো অলিম্পিক ও কোপা আমেরিকায় আমরা ফুটবল বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারবো কীভাবে ব্রাজিল ফুটবল খেলে। কিন্তু কাজটা সহজ হবে না। আমার ভয় হচ্ছে যে, আমরা আমাদের পথ হারিয়ে ফেলেছি। ’
বর্তমান ব্রাজিল টিমের খেলার ধরণ নিয়ে পেলে যে হতাশ তা তার কথাতেই স্পষ্ট, ‘দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশ যেমন আর্জেন্টিনা, চিলি ও ইকুয়েডর বর্তমানে ব্রাজিলের চেয়েও সুন্দর ফুটবল খেলছে। গত দু’টি কোপা আমেরিকায় কী হয়েছে তা সবাই দেখেছে। আমরা প্যারাগুয়ের কাছে পেনাল্টিতে হেরেছি। ’
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল গ্রেট যোগ করেন, ‘আমি নিজে, গারসন ও টোস্তাও সবাই ১০ নম্বর জার্সিধারীর মতো খেলোয়াড় ছিলাম এবং মারিও জাগালোও যিনি পরে (কোচ হিসেবে) আমাদের সবাইকে একই সঙ্গে মাঠে চেয়েছিলেন। তিনি এমন একটি ফর্মেশন তৈরি করেছিলেন যা অামাদেরকে আরো ধারালো করেছিল। পরবর্তীতে আমরা জাপানে (২০০২ বিশ্বকাপ) রোনালদো, রোনালদিনহো ও রিভালদোকে পেয়েছি যাদের সবারই অসাধারণ বিচারবুদ্ধি ছিল এবং আমরা আবারো বিশ্বকাপ জিতেছি। ’
‘কিন্তু এখন আমাদের এমন একজন কোচ আছেন যিনি খেলোয়াড়দের প্রথক অভিব্যক্তির দিকে যত্ন নিচ্ছেন না। নেইমার একা তো সফলতা এনে দিতে পারবে না। বিশ্বকাপে কী হয়েছিল আমরা সবাই তা দেখেছি যখন সে জার্মানির বিপক্ষে খেলতে পারেনি। ’-যোগ করেন পেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৬
এমআরএম