ঢাকা: আট বছর পর জিয়ানলুইজি বুফনের দৌড় থামলো! জুভেন্টাসের হয়ে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের পর এ প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি ইতালিয়ান আইকনের। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে তার টানা ৫০ ম্যাচ খেলার পর এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক।
যেকোনো ইভেন্টেই জুভিদের প্রথম পছন্দ বুফন। কিন্তু ডায়নামো জাগরেবের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটিতে তাকে শুধুমাত্র বদলি খেলোয়াড় হিসেবে রাখা হয়। অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে ২-০ গোলের জয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষে থেকেই নকআউট পর্বে পা রাখে ইতালিয়ান জায়ান্টরা।
আট বছর আগে গ্রপ পর্বে বাতে বোরিসভের বিপক্ষে গোলশূন্য ম্যাচ মিসের পর ইউরোপের মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব প্রতিযোগিতায় জুভিদের সবগুলো খেলায় গোলবার সামলান বুফন। দীর্ঘ সময় পর তার দুর্দান্ত সব সেভ মিস করেন সমর্থকরা।
এ সময়ের মধ্যে দু’বারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ৫০টি ম্যাচ খেলেছেন ৩৮ বছর বয়সী বুফন। জাগরেব ম্যাচে তাকে বিশ্রামে রাখেন কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। স্কোয়াডে থাকলেও সাইড বেঞ্চে বসেই দলের জয় উপভোগ করেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এ গোলরক্ষক। তার জায়গায় খেলেন ব্রাজিলিয়ান নর্বার্তো নেতো।
প্রসঙ্গত, গত মাসে চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে ৬০০টি ‘সিরি আ’ (ইতালিয়ান লিগ) ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেন বুফন। একই সঙ্গে তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগে একশ’র অধিক ম্যাচ খেলেছেন।
মিনিটের হিসেবে জুভিদের জার্সি গায়ে সবচেয়ে বেশি সময় খেলার কীর্তিটি বুফনের দখলে। ২০০১ সালে তিনি পারমা থেকে জুভেন্টাসে পাড়ি জমান।
ইতালির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার তালিকায় সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে বুফন। এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ১৬৭টি। অবসর নেননি এমন খেলোয়াড়ের মধ্যে আন্দ্রে পিরলো ১১৬ ম্যাচ নিয়ে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে দুই সাবেক তারকা ফ্যাবিও ক্যানাভারো (১৩৬) ও পাওলো মালদিনি (১২৬)। সেরা পাঁচের বাকি সদস্য কিংবদন্তি গোলরক্ষক ৮২’র বিশ্বকাপ জয়ী ডিনো জফ (১১২)।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৬
এমআরএম