ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

মহাতারকা ম্যারাডোনার পৃথিবীতে আগমন

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
মহাতারকা ম্যারাডোনার পৃথিবীতে আগমন দিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা

পুরো নাম দিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার। আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি এ মহাতারকার ৫৮তম জন্মদিন আজ। ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের শহর লানুসে পলিক্লিনিকো এভিতা হাসপাতালে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।

৮ বছর বয়সে ক্লাব পর্যায়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন ম্যারাডোনা। ১৯৭৫ সালে যোগ দেন আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স ক্লাবে।

টানা ৬ বছর এই ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তিনি। এর মাঝে ১৯৭৭-৭৯ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনা আন্ডার টোয়েন্টি দলের হয়ে জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন। মাঠের খেলায় অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বা দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতেন তিনি।

১৯৭৭ সালে জাতীয় দলে নাম লেখান দিয়েগো ম্যারাডোনা। জাতীয় দলের হয়ে ফিফা বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার চারটি আসরে অংশ নেন তিনি। ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার এই খেলোয়াড়ের নেতৃত্বেই ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালেও খেলেন তিনি।

জাতীয় দলের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন আর্জেন্টিনার সাবেক এই তারকা। ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন তিনি।

ম্যারাডোনাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দুইবার স্থানান্তর ফি এর ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। ১৯৮২ সালে বোকা জুনিয়র্স থেকে বার্সেলোনায় স্থানান্তরের সময় ৫ মিলিয়ন ইউরোর রেকর্ড গড়েন তিনি। এরপর ১৯৮৪ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে নাপোলিতে যাওয়ার সময় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরোর রেকর্ড গড়েন তিনি।

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সাথে হাত দিয়ে করা প্রথম গোলটি ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত একই সাথে বিতর্কিত গোল হিসেবে স্বীকৃত। প্রথম গোলটি ছিল হ্যান্ডবল যা ‘হ্যান্ড অফ গড’ নামে পরিচিত। দ্বিতীয় গোলটি ম্যারাডোনা প্রায় ৬০ মিটার দূর থেকে ড্রিবলিং করে পাঁচজন ইংরেজ ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে করেন। ২০০২ সালে ফিফা ডট কম এর ভোটাররা গোলটিকে শতাব্দীর সেরা গোল হিসাবে নির্বাচিত করে।

ম্যারাডোনাকে ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে বিতর্কিত এক সংবাদ হিসেবে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের অন্যতম মনে করা হয়। ১৯৯১ সালে ইতালিতে ড্রাগ টেস্টে কোকেইনের জন্য ধরা পড়ায় ১৫ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হন তিনি। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ইফিড্রিন টেস্টে ইতিবাচক ফলাফলের জন্য তাকে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হয় । ২০০৫ সালে তিনি তার কোকেইন নেশা ত্যাগ করেন । ১৯৯৭ সালে প্রিয় দল বোকা জুনিয়র্স থেকে অবসর নেন।

ফুটবল থেকে শত বিতর্ক সত্ত্বেও ফিফা ২০০০ সালে ম্যারাডোনাকে পেলের সাথে যৌথভাবে বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করে।

২০০৮ সালের নভেম্বরে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পান দিয়েগো। ২০১০ বিশ্বকাপের পর দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দায়িত্ব ছাড়তে হয় তাকে। পরে আরব আমিরাতে দুটি দল আল ওয়াসল ও ফুজাইরাহ হয়ে বর্তমানে মেক্সিকোর ক্লাব দোরাদোসের কোচের ভূমিকায় কাজ করছেন তিনি। সর্বকালের সেরা এই তারকাকে বেলারুশের ক্লাব ডায়নামো ব্রেস্ট ২০১৮ সালে সম্মানসূচক চেয়ারম্যান পদে আসীন করে।

বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।