সেমিফাইনালে ঘরের মাঠে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে চরম এক লজ্জার মুখে পড়তে হয়েছিল তাদের। রক্ষণভাগের শেষ প্রহরী গোলরক্ষক সিজারকে সেই কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে খু্ব কাছ থেকেই।
‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরে আসা জুলিও সিজার বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেই স্মৃতি স্মরণ করলেন। তিনি জানিয়েছেন কেমন ছিল সেই দিনটি।
সিজার বলেন, ‘সত্যি বলতে ম্যাচের পর কেউ আসলে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিল না। সেই মুহূর্তটা আসলে খুবই কঠিন ছিল। সমর্থক থেকে শুরু করে আমরা সবাই এমন মুহূর্তটা কখনই প্রত্যাশা করিনি এবং ব্যাখ্যা করার মতো অবস্থায় ছিলাম না। ’
ম্যাচের পর ড্রেসিং রুমের পরিবেশের কথা বলতে গিয়ে ব্রাজিলের সাবেক গোল রক্ষক বলেন, ‘ফুটবলাররা মানসিকভাবে শক্ত থাকার চেষ্টা করেছে। অনেকে কেঁদেছে। তাদের মধ্যে আমিও একজন। প্রেসিডেন্ট আমাদের রুমে এসেছিলেন। সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেছেন সবাইকে। বলেছেন, এমন হতেই পারে। ভবিষ্যতের জন্য হলেও মানসিকভাবে শক্ত থাকাটা খুবই প্রয়োজন। ’
এমন একটা ম্যাচের পর মাঠে ফেরাটা ফুটবলারদের জন্য খুই কঠিন হয়ে দাড়ায় কিন্তু তারপরও বিশ্বকাপের তৃতীয় নির্ধারণী ম্যাচে হল্যান্ডের বিপক্ষে নামতে হয়েছিল সিজারকে। কঠিন সেই বাস্তবতার কথা বলতে গিয়ে এই গোললক্ষক বলেন, ‘তার থেকে কঠিন ছিল ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ফেরা। কারণ আমাদের থার্ড ও ফোর্থ পজিশনের জন্য ম্যাচ খেলতে হবে। হল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ ছিল। আমার ক্যারিয়ারে এটা নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। ’
এই কঠিন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে সিজার বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, তোমাকে দাঁড়াতে হবে। মাথা তুলে এগিয়ে যেতে হবে। ব্রাজিলের অতীত সুখস্মৃতি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। স্মৃতি তো তাড়াবেই। ’
বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
আরএআর/এমএ