চরম চাপ সত্ত্বেও গত সোমবার বার্সেলোনার সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করবেন না বলে গর্ব করে বলেছিলেন হোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে তার সিদ্ধান্ত বদলে গেল।
বার্তোমেউ জানিয়ে গেলেন ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ পাঁচ দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগের অনুমোদন দিয়েছেন তারা। অথচ এই টুর্নামেন্টের এখনও কোনো ভবিষ্যত নেই।
জানা যায়, ১২টিরও বেশি ক্লাব এক জোট হয়ে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নামে নতুন এক প্রতিযোগিতা প্রচলনের পরিকল্পনা করেছে। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না আসেনি।
এ ব্যাপারে গত সপ্তাহে স্কাই নিউজ জানায়, নতুন এই লিগ আয়োজনে ৬০০ কোটি ডলারের প্যাকেজ গঠন করা হয়েছে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ১৮ টি ক্লাব অংশ নেবে জমকালো টুর্নামেন্টটিতে। চ্যাম্পিয়নস লিগের জায়গায় এই টুর্নামেন্ট হবে বলে জানা যায়। ২০২২ সাল থেকে এর সম্ভাব্য শুরুর সময় ধরা হয়েছে। গোটা মৌসুমজুড়ে ন্যূনতম ৩০ ম্যাচ খেলবে প্রতি ক্লাব।
এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে জায়ান্ট ক্লাবগুলো আরও বড় হবে। আর অর্থাভাবে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে অনেক ক্লাব।
বিদায়বেলায় বার্তোমেউ বলেন, ‘আমি আজ দারুণ একটি খবর জানাতে চাই। ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো নিয়ে যে টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা করা হয়েছে, (সোমবার) পরিচালনা পরিষদ সেই ইউরোপিয়ান সুপার লিগে অংশগ্রহণের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে। ’
প্রতিযোগিতাটি ‘বাস্তবসম্মত নয়’ এবং ‘কাল্পনিক’ উল্লেখ করে বার্তোমেউর ফুটবল বিষয়ে ‘জ্ঞান’নেই বেলে জানান লা লিগা প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাস। বার্তোমেউর এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘তার শেষ দিনে তিনি যা ঘোষণা করলেন এটা দুঃখজনক। এর আগে অনেক সাফল্য ও সম্প্রতি অনেক ব্যর্থতার সাক্ষী হয়েছেন তিনি। ’
এর আগে লিওনেল মেসির ক্লাব ছাড়তে চেয়ে পাঠানো বুরোফ্যাক্স, মাঠে বাজে ফলাফল, সমর্থকদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ এবং ক্লাবের আর্থিক দুরবস্থার কারণে বার্তোমেউর ভবিষ্যৎ এমনিতেই সুতোর উপর ঝুলছিল। কিন্তু এসব কিছুই তার বিদায়ের কারণ হতে পারেনি। মূলত অনাস্থা ভোটের জন্য ১৬ হাজারের বেশি স্বাক্ষর তাকে বিদায় করে দিল। যেখানে আসছে নভেম্বরের শুরুতে অনুষ্ঠেয় অনাস্থা ভোটকে সামনে রেখেই সরে দাঁড়ালেন তিনি ও তার সহকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২০
এমএমএস